জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ক'দিন আগে ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে প্রবল ঝোড়ো বাতাস এবং তীব্র বৃষ্টি নিয়ে পুয়ের্তো রিকোয় আছড়ে পড়েছিল হারিকেন ফিওনা। প্রায় গোটা দেশ জুড়েই ২৪ ঘণ্টায় ৩০৪ মিলিমিটার থেকে ৪৫০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছিল, কোথাও আবার ৭৫০ মিমিরও বেশি ছিল বৃষ্টির পরিমাণ। কোনও কোনও জায়গায় ৯০০ মিমিরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। সেই ঝড়ে এবং বৃষ্টিতে সাংঘাতিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়েছিল শহরটি। বিপুল বৃষ্টিতে বন্যা হওয়া স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু কিছুই করার ছিল না স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর। গুয়াওনিকা নদীতে নেমেছিল বন্যা। সেই বন্যার জল প্রথমে উতুয়াদো শহরের কেন্দ্রস্থলের ওই সেতুটির উপর দিয়ে বইছিল। একসময় স্রোতের টানে ইস্পাতের তৈরি পুরো সেতুই ভেসে যায়। প্রবল বন্যায় সেতুটি-সহ পুয়ের্তো রিকোর নগর পরিকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Tasmania’s West Coast: তাসমানিয়ার উপকূল জুড়ে শয়ে শয়ে তিমি, চলছে উদ্ধারকাজ...


ফুঁসতে থাকা নদীর স্রোত প্রবল বেগে আছড়ে পড়েছিল সেতুটির উপর। সেতুটির একদিক সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অন্যদিকটি আরও কিছুক্ষণ স্থলভাগের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে সেই দিকটিও খুলে যেতে বেশি সময় লাগেনি। তারপর স্রোতের টানে, ইস্পাতের তৈরি বিশাল সেতুর গোটাটাই খেলনার মতো ভেসে যেতে দেখা যায়।



একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, সম্পূর্ণ ভেসে যাওয়ার আগে, কীভাবে সেতুটিকে ধরে রাখা লোহার মোটা তারগুলি পলকা পাতলা দড়ির মতো ছিঁড়ে ছিঁড়ে যাচ্ছিল। অন্য আর একটি ভিডিয়োটিতে শোনা গিয়েছে ইস্পাত ভাঙার ধাতব শব্দও। যাকে অনেকেই 'সেতুর আর্তনাদ' বলে চিহ্নিত করেছেন।  


হারিকেন মারিয়ার আঘাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এই সেতুটি। ৫ বছর আগে, ২০১৭ সালে পুয়ের্তো রিকোয় আছড়ে পড়েছিল হারিকেন মারিয়া। হারিকেন মারিয়ার বন্যার জল মূল সেতুটিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। এর ফলে পার্বত্য অঞ্চলটি বিশ্বের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। সেতুটি ফের নতুন করে তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ফিওনার হাত থেকে রেহাই পেল না এটি। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)