ওয়েব ডেস্ক: মার্গারেট থ্যাচারের পর থেরিজা মে। দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী পেল ব্রিটেন।  বুধবারই রানি এলিজাবেথ ডেকে পাঠিয়ে থেরিজাকে নতুন সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানান। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন থেরিজা।  ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরোনোর পর যে চ্যালেঞ্জের সামনে পড়েছে ব্রিটেন, তা মোকাবিলা করাই তাঁর প্রধান কাজ। জানিয়েছেন থেরিজা মে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মার্গারেট থ্যাচারের সঙ্গে থেরিজা মে-র মিল অনেকটাই। অর্থনীতির কঠিন সময়ে দেশের রাশ ধরেছিলেন মার্গারেট থ্যাচার। তিনিই ছিলেন ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করার পর যখন রাজনৈতিক সঙ্কটের মুখে ব্রিটেন, তখনই প্রধানমন্ত্রীর আসনে আরও একজন মহিলা। থেরিজা মে। 


 


প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ ক্যামেরনের, ইস্তফাপত্র গ্রহণ করলেন রানি


ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন থেকে বেরোনোর পর একাধিক সঙ্কটের সামনে ব্রিটেন। রয়েছে অর্থনৈতিক সঙ্কটের চ্যালেঞ্জ। এর ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকতে চায় স্কটল্যান্ড। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ব্রিটেনের অখণ্ডতার কথা শোনা গেল নতুন প্রধানমন্ত্রীর গলায়, "দেশের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ, সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করাই আমাদের প্রধান কাজ। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের অখণ্ডতা নয়। মানুষের ঐক্যের জন্যও কাজ করবে সরকার"।


 



গণভোটে ব্রিটেনবাসী ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় দেওয়ার পরই পদ ছাড়ার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। গত সোমবারই তাঁর জায়গায় কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচিত হন থেরিজা মে। বুধবারই ইস্তফা দেন ক্যামেরন। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেরিজার মুখেও ক্যামেরনের ভূয়সী প্রশংসা। 


চারিত্রিক দৃঢ়তার জন্য মার্গারেট থ্যাচারের নাম হয়েছিল দ্য আয়রন লেডি। থেরিজাও কি তেমনই কোনও নজির সৃষ্টি করতে পারবেন? সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে থেরিজা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ব্রেক্সিট যে ব্রিটেনের পক্ষে মঙ্গলকর তা প্রমাণ করে ছাড়বেন তিনি।