নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে গাজা স্ট্রিপে  নামল শান্তি। শুক্রবার ভোর থেকে এই সংঘর্ষবিরতি সূচিত হয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। আসলে হামাসের সঙ্গে আলোচনা করে কোনও একটি চুক্তিতে পৌঁছতে পেরেছে মিশর সরকার।
তাই এই যুদ্ধবিরতি ত্বরান্বিত হল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রায়  দু'সপ্তাহ ধরে গাজায় অশান্তি চলছে। এই অবস্থায় প্রাথমিক অনড় মনোভাব থেকে সরলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। তাঁর মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকে এই সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। যদিও এই দাবি ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যমগুলির। নেতানিয়াহু প্রশাসন আনুষ্ঠানিক ভাবে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।


আরও পড়ুন: বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ; দু-এক দিনের মধ্যেই যুদ্ধবিরতির আশা গাজায়


আমেরিকার সংবাদমাধ্যম দু'দিন আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল, শীঘ্রই শান্তি ফিরতে পারে গাজায়। ক্রমশ বাড়তে থাকা আন্তর্জাতিক চাপের কাছে আপাতত নতি স্বীকার করতে হল ইজরায়েলকে।


পশ্চিম এশিয়ার বেশির ভাগ দেশও সংঘর্ষবিরতির পক্ষে সওয়াল করেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা। হামাসের সঙ্গে আলোচনা করে কোনও একটি চুক্তিতে পৌঁছতে পেরেছে মিশরের সরকার।


যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হওয়ার  পরেই গাজার রাস্তায় উল্লাসে ফেটে পড়েন অসংখ্য মানুষ। আনন্দে মাতোয়ারা হন তাঁরা। এদিকে, একের পর এক হামলায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে গাজার স্বাস্থ্য পরিষেবা। তা ফের গড়ে তোলার জন্য অবিলম্বে ৭০ লক্ষ ডলারের আর্থিক সাহায্যের কথাও জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।


এই সংঘর্যে ইজরায়েলি বোমায় (Israeli bombardment) ২৩২ জন প্যালেস্টাইনি (Palestinians) মারা গিয়েছেন, যার মধ্যে শিশুই ৬৫ জন। ওদিকে ইজরায়েলে ১২ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে শিশু দু'জন।


আরও পড়ুন: ইজরায়েল-প্যালেস্টাইনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চাইলেন বাইডেনও