Chawk Bazar Iftar Market: আস্ত খাসি, কোয়েল ও মুরগির রোস্ট! বিচিত্র এই ইফতারি পসরা কোথায় জানেন?
ভোজন রসিক বাঙালির ভোজনপর্বের পরিচয় মেলে বাংলাদেশের (Bangladesh) চকবাজারে এলে। কেননা, ঐতিহ্যবাহী এই ইফতারি বাজারে বিক্রি করা হয় কয়েকশো পদের মুখোরোচক পদ।
সেলিম রেজা, বাংলাদেশ
চারশো বছরের বেশি সময় ধরে ঢাকানগরী তার আপন মহিমায় নিজস্বতার পরিচয় দিচ্ছে। ঢাকার নানা ঐহিত্য। মুসলমান বাঙালিদের জন্য ঐহিত্যের পরিচয় বহন করছে বাংলাদেশের পুরনো ঢাকার চকবাজারের ইফতার। ভোজন রসিক বাঙালির ভোজনপর্বের পরিচয় মেলে চকবাজারে এলে। কেননা, এখানে ইফতারির জন্য বিক্রি করা হয় কয়েকশো পদের মুখোরোচক খাবার।
করোনা অতিমারীর (Corona Pandemic) কারণে গত দু'বছর চকবাজার শাহী মসজিদের (Shahi Mosque) সামনের রাস্তায় ইফতারির বাজার বসা বন্ধ ছিল। এবার তা জমজমাট। ঢাকার (Dhaka) ইতিহাসবিদদের বই থেকে জানা যায়, মোগল ও নবাবদের আমল থেকেই ঢাকার ইফতারির বাজার সমৃদ্ধ ছিল। তাঁদের মতে ঢাকার চকবাজারের শাহী মসজিদের সামনে একটি কূপ ছিল। তার চারপাশেই চেয়ার-টেবিল বিছিয়ে বিক্রি করা হত ইফতারের বিভিন্ন উপকরণ। কালের বিবর্তনে পুরনো ঢাকার চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার আজকের চেহারায় এসে দাঁড়িয়েছে।
ইফতারে (Iftar) বাহারি সমারোহের জন্য ঢাকার চকবাজার যে ইতিহাসের অংশ হয়ে গিয়েছে এ নিয়ে কোনও সন্দেহ বা বিতর্ক নেই। মোগল রসুইখানার খাবার ঢাকার নবাবদের কল্যাণে আগেই ঢাকার ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। চকবাজারের কল্যাণেই সেসব খাবারের সঙ্গে পরিচয় ঘটে সাধারণ মানুষের। ক্রমেই সেগুলি ছড়িয়ে পড়ে সারা বাংলাদেশে।
১৮৫৭ সালের আগেই ঢাকার চকবাজার (Chawk Bazar) জমজমাট হয়। সে সময়েই চকবাজারে গড়ে ওঠে নানা রকম মুখরোচক খাবারের দোকান। রোজার সময় মোগলাই খাবার এবং রকমারি ইফতার বিক্রি করা হত এখানে। কামেল মিয়া ঢাকার চকবাজার শাহী জামে মসজিদ চত্বরে বাণিজ্যিক ভাবে শুরু করেছিলেন 'বড় বাপের পোলায় খায়'। এ আইটেমের ইফতারির কদর পুরনো। এর আগের নাম ছিল সিকচূড়ার ভর্তা। তবে নতুন করে সেখানে স্থান করে নিতে শুরু করেছে আস্ত খাসি, কোয়েল পাখি ও মুরগির রোস্ট। আছে পানীয় লাবাং, মাঠা, বোরহানি ও পেস্তাবাদামের শরবত। প্রথাগত ছোলাবুট, বুন্দিয়া, দইবড়া, বেগুনি, পেঁয়াজু তো আছেই।
রোজাদারদের কাছে ইফতার উৎসবের সন্ধ্যাকে আনন্দময় করতে নানা রকমের ইফতারির পসরা আর তার সঙ্গে হাঁকডাকে মুখর থাকে চকবাজার। জোহরের নামাজের পর থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসে কিনে নিয়ে যায় তাদের পছন্দের খাবার।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: কী কী পেলে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাবেন অনড় পুতিন?