নিজস্ব প্রতিবেদন:  করোনা সংক্রমণের জেরে সারা বিশ্বে হাহাকার চলছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানিয়ে দিয়েছে প্রতিষেধক ছাড়া অসম্ভব করোনা রোখা। এরই মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে চিন। মঙ্গলবার করোনার দুই ধরনের প্রতিষেধকের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য অনুমতি দিয়েছে চিনা প্রশাসন। এমনটাই জানিয়েছে চিন কাউন্সিলের যৌথ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ পরিষদ। চিনের উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলোজিকাল প্রোডাক্টসের জাতীয় ওষুধ বিশেষজ্ঞ দল ও বেজিংয়ের সিনোভেক বায়োটেকের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে ওষুধ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এর আগে সার্স (SARS), হেপাটাইটিস-এ ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের (H5N1) প্রতিষেধক আবিস্কারের কাজে গবেষণা করেছিলেন সিনোভেক বায়োটেকের সিইও ইয়িন ওয়েডং। তিনি জানিয়েছেন চিনের রোগ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করছেন তাঁরা। তিনি বলেছেন, "যদি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে সফল হওয়া যায়, তাহলে দ্রুত প্রতিষেধক তৈরি করা হবে। বছরে ১০ কোটির বেশি প্রতিষেধক তৈরি করতে সক্ষম তাঁরা।"


আরও পড়ুন- পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় করোনায় মৃত রোগীর দেহ, ভুল স্বীকার করলেন চিকিত্সক


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী প্রতিষেধক, শারীরিক বা রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলির মাধ্যমে হত্যা করা অণুজীব (ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়া, অন্যান্য) থেকে তৈরি করা হয়। প্রয়োগের পরে প্রতিষেধক, আক্রান্তের দেহে অ্যান্টিজেনগুলিকে প্রতিলিপি তৈরি করতে বাধা দেয় ফলে সংক্রামিত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ওঠে।


চিনা বিজ্ঞানীরা যেসব উপায়ে প্রতিষেধক আবিষ্কারের কথা ভাবছেন। সেগুলি হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং সাবইউনিট ভ্যাকসিন, অ্যাডেনোভাইরাস ভেক্টর ভ্যাকসিন ও নিউক্লিক অ্যাসিড ভ্যাকসিন।


উল্লেখ্য চিনের অ্যাকাডেমি অব মিলিটারি মেডিকেল সায়েন্স আগেই  অ্যাডেনোভাইরাস ভেক্টর ভ্যাকসিন  তৈরি করেছে যা এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে।