নিজস্ব প্রতিবেদন-  ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল নেপালের। আর সেই সুযোগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি সিং ওলি চিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরো মজবুত করার সুযোগ খুঁজছিলেন। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন, চিনের সঙ্গে নিবিড় বন্ধুত্ব নেপালের উন্নতি সাধন করতে পারে। কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছু হয়নি। বরং এখন জানা যাচ্ছে, শি জিন পিংয়ের দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নেপালের আখেরে লোকসানই হয়েছে। আমেরিকা আগেই বলেছিল, চিন বিশ্বজুড়ে সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। আর সেজন্য চিনের লাগোয়া প্রতিটি দেশের সীমান্ত বরাবর তাদের সেনা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। এবার চিনা সেনা নেপালে অনুপ্রবেশ করল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নেপালি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, হুমলা এলাকায় বহুদিন ধরেই ঢুকে বসে রয়েছে চিনা সেনা। নেপালের ওয়েবসাইট Khabarhub.com প্রথম তাদের সীমান্তে চিনা অনুপ্রবেশের ঘটনা সামনে আনে। তারা জানায়, নেপালের হুমলায় নটি ইমারত বানিয়ে ফেলেছে চিনা সেনা দিনকয়েক আগে নেপালের কয়েকজন সরকারি আধিকারিক এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। বহুদিন আগেই সেখানে একটি ইমারত তৈরী করে ফেলেছিল লাল ফৌজ। এবার সেই আধিকারিকরা ফিরে এসে জানালেন, আরও আটটি ইমারত নেপালের ভূখণ্ডে তৈরি করেছে চিনারা। নেপালের ভূখণ্ড চীনের দখলে যাবার পর স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীদের চাপের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে কে পি সিং ওলি।


আরও পড়ুন-  ডোনাল্ড ট্রাম্পের অফিসে এল ভয়ঙ্কর বিষ ভর্তি চিঠি! আমেরিকায় নির্বাচনের আগে হইচই


নেপালের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হুমলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয় না। এমনকী ওই এলাকায় সরকারি কর্তাদের যাওয়া-আসাও তেমন নেই। এক কথায় বলতে গেলে, নেপালের অনুন্নত জায়গাগুলির মধ্যে একটি হুমলা। ফলে ওখানে লোকবসতিও তুলনামূলক কম। আর সেই সুযোগেই নেপালের এলাকার বিস্তৃত ভূখণ্ড নিজেদের দখলে নিয়ে ফেলেছে চিনা সেনা। দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে ইমারত নির্মাণের কাজ চালিয়েছে তারা।