নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের ‘নাকের ডগায়’ আবহাওয়া স্টেশন তৈরি করল চিন। উদ্দেশ্য, ভারত-তিব্বত সীমান্তে আবহাওয়ার গতিবিধি বুঝতেই তৈরি হয়েছে এই স্টেশন। প্রশ্ন উঠছে, তিব্বতের এমন দুর্গম এলাকার ইউমাই শহরে আবহাওয়া স্টেশন তৈরি করে কী লাভ বেজিংয়ের? চিনা সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিব্বতের শানান এলাকায় আবহাওয়ার গতিবিধি বুঝে কাজ করতে সুবিধা হবে সীমান্তে নিযুক্ত চিনা সেনাদের এবং পরিবহণ ক্ষেত্রও কাজ সহজ হবে বলে জানাচ্ছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ যোগ নিয়ে এফবিআই-কেই দুষলেন ট্রাম্প!


ইউমাইয়ের এই স্টেশনের এক আধিকারিক তাশি নরবু জানাচ্ছেন, এই স্টেশন থেকে আবহাওয়া সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হবে। সেই এলাকার তাপমাত্রা, বায়ুচাপ, জলীয় বাস্প, হাওয়ার গতিবিধি বিষয়ে খবর দেবে এই স্টেশন। সূত্রের খবর, অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত লাগোয়া স্থানীয় আবহাওয়ার গতিবিধি বুঝেই চিনা সেনা তাদের পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে।



উল্লেখ্য, তিব্বত এবং অরুণাচল প্রদেশের এই সীমান্ত যতটা দুর্গম এবং ততটাই আবহাওয়ার নিরিখে প্রতিকূল। এই কারণটির জন্যই সীমান্তে নিযুক্ত দু’দেশের সেনার কাছে নজরদারি চালনো সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউমাই শহরে এই স্টেশন তৈরি করে ভারতকে কূটনৈতিক স্তরে চাপে রাখতে চাইছে বেজিং। ডোকলাম ইস্যুর রেশ যে চিন এখনও জারি রেখেছে, বেজিংয়ের এই পদক্ষেপেই তা স্পষ্ট বলে মনে করছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন- ওড়ার ‘স্বাধীনতা’ পেলেন সৌদির মহিলারা


অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত মহাসাগরেও আধিপত্য বজায় রাখতে নৌসেনার একটি শাখা তৈরি করছে চিন। বাণিজ্য প্রসার এবং ভারত মহাসাগরে নিজেদের সীমারেখা পেরিয়ে আধিপত্য বজায় রাখতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে চিন। বেজিংয়ের এই পদক্ষেপে নজরদারি চালনায় ভারতকেও যথেষ্ট বেগ পেতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে, চিনের এই উদ্যোগ যতটা না প্রাকৃতিক আবহাওয়া আন্দাজ করার জন্য, তার থেকে ঢের বেশি রাজনৈতিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন- কমোডের একটি ঢাকনার দাম ৬ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা!