চিনের নজর এবার `পৃথিবীর ছাদ`-এর দিকে, ওখানেও জমি আছে বলে দাবি বেজিংয়ের
২০১০ সালে চিন ও তাজাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী চিনকে ১১৫৮ বর্গ কিমি জায়গায় সঁপে দিতে হয়েছিল তাজাকিস্তানকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- ভারত, ভূটানের পর এবার চিনের নজর তাজাকিস্তানের দিকে। বেজিংয়ের নজর পড়েছে পৃথিবীর ছাদ অর্থাত্ পামির মালভূমির দিকে। চিনের ইতিহাসবিদ ইয়ো ইয়াও লু সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন, একটা সময় পুরো পামির এলাকা চিনের ছিল। তাই এবার পামিরের পার্বত্য ভূমি চিনের ফেরত পাওয়া উচিত। তাঁর এমন লেখার পর থেকেই চিনের সংবাদমাধ্যম এই নিয়ে উঠে-পড়ে লেগেছে। তারাও অতীত খুঁজে দেখতে নেমেছে। সেইসঙ্গে তাজাকিস্তানের থেকে পামির মালভূমি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় চিন সরকারকে যথাসাধ্য সাহায্য করে চলেছে। আর চিনের এই সাম্রাজ্যবাদী আস্ফালনে ভয়ে কাঁপছে তাজাকিস্তান।
মধ্য এশিয়ার ছোট ও গরীব দেশ তাজাকিস্তান। ২০১০ সালে চিন ও তাজাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী চিনকে ১১৫৮ বর্গ কিমি জায়গায় সঁপে দিতে হয়েছিল তাজাকিস্তানকে। চিন সেই চুক্তির পর তাজাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে তাশকুরগায় এয়ারপোর্ট নির্মাণের কাজও শুরু করে দিয়েছে। যা কিনা চিন্তায় বিষয়। তবে মধ্যপ্রাচ্যে চিনের সাম্রাজ্য বিস্তারের দিকে নজর রেখেছে রাশিয়া। কারণ মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলির উপর রাজনৈতিক আস্থা রয়েছে রাশিয়ার। তা ছাড়া চিনের এই সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই রুখে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া ও আমেরিকা।
আরও পড়ুন- সন্ত্রাসবাদীদের দেশের থেকে শিখব না, রাম মন্দির ইস্যুতে পাকিস্তানকে শোনাল ভারত
ইতিহাসবিদ ইয়ো ইয়াও লু প্রতিবেদনে আরও লিখেছেন, ১৯১১ সাল থেকে চিন যে নীতি নিয়েছে তাতে হারানো জমি পুনর্দখলের কথা রয়েছে। এরই মধ্যে চিন বেশ কিছু হারানো জমি ফেরত পেয়েছে। তবে আরও অনেক জমি পাওয়া বাকি। পামির বহু প্রাচীন একটি জায়গা। সেখানে সবার প্রথমে চিনের অধিকার ছিল। কিন্তু গত ১২৮ বছর ধরে পামিরের পার্বত্য অঞ্চল আর চিনের তত্ত্বাবধানে নেই। তাই এবার সেই অঞ্চল ফিরে পেতে চায় চিন।