নিজস্ব প্রতিবেদন-  নভেল করোনাভাইরাস! এই অদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে লড়ছে ভারত সহ গোটা বিশ্ব। তারই মধ্যে ভারতে বিদেশি বিনিয়োগের রীতিতে বদল এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার জেরেই ক্ষুব্ধ চিন, ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠনের নির্দেশ অমান্য করে বৈষম্যমূলক ও অস্বচ্ছ বিদেশনীতি আনার সরাসরি অভিযোগ এনেছে। ভারত সরকারও পালটা জানিয়ে দিয়েছে  "অধিক সুবিধাযুক্ত অধিগ্রহণ" পদ্ধতি নিয়ে আসার জন্যই এই বদল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতে বিদেশি বিনিয়োগ দুটি পদ্ধতিতে হয়। প্রথমটি স্বয়ংক্রিয়, যেখানে সরকারের অনুমতি লাগে না। দ্বিতীয়টি  সরকারের মাধ্যমে, যেখানে সংস্থাগুলিকে  সরকারের কাছে অনুমতি নিতে হয়। আগে চিন,নেপাল, ভুটানকে ভারতে বিনিয়োগের জন্য প্রত্যক্ষভাবে সরকারের কাছে দারস্ত হতে হতোনা। শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে সরকারের মাধ্যমে ব্যবসা করতে হতো। কিন্তু এই নতুন বিদেশ বিনিয়োগ নীতির মাধ্যমে চিন, নেপাল, ভুটানকেও সরকারের মাধ্যমে ব্যবসা করতে হবে। তাতেই ক্ষেপেছে চিন। তাঁদের সাফ বক্তব্য, ভারতের এই বিশেষ কয়েকটি দেশের জন্য প্রযোজ্য বৈষম্যমূলক বিদেশ বিনিয়োগ নীতি কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভারতের উচিত এই নীতিতে বদল আনা। তবে ভারতও অনড়। ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, যেসব দেশঘুলি ভারতের সঙ্গে বর্ডারে রয়েছে অর্থাৎ ভারতের প্রতিবেশী দেশ , তাঁরা ভারতে যেকোনও প্রকার বিনিয়োগ করতে চাইলে তাঁদের সরকার মারফতই করতে হবে। বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে এই নয়া নীতির প্রশংসা করে লিখেছেন, নীতিতে বদল আনার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। 
করোনা সংক্রমণের জেরে এমনিতেই বিশ্বে চিন ও আমেরিকার কূটনৈতিক তরজা বিদ্যমান। কয়েকদিন আগেই ভারত থেকে সফর করে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই অসময়ে বিদেশনীতির পরিবর্তনে কী অন্য কোনও ইঙ্গিত রয়েছে! এছাড়াও ভারতের এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যে যে যথেষ্ট বার্তাবহ। তা কার্যত দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।


আরও পড়ুন: কানাডায় পুলিসের বেশে রাতভর দাপিয়ে বেড়ালো এক বন্দুকবাজ, মৃত্যু হল কমপক্ষে ১৬ জনের