ওয়েব ডেস্ক : প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন সেনাছাউনি গুয়াম প্রদেশকে নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে ট্রাম্প প্রশাসন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে শুরু হয়েছে স্নায়ুর যুদ্ধু। ওয়াশিংটনকে চাপে রাখতে পর পর ৬টি ব্যালাস্টিক মিসাইল উত্ক্ষেপণ করে বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং উন। তাঁর বিরুদ্ধে মার্কিন প্রশান থেকে ইংল্যান্ড, জাপান, রাশিয়া সহ একাধিক দেশ রাষ্ট্রপুঞ্জে নালিশ জানিয়েছে। যদিও, এতদিন পর্যন্ত সেই তালিকায় ছিল না চিন। কারণ পেট্রোলিয়াম থেকে টেক্সটাইল....উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৯০ শতাংশ ব্যবসাই নির্ভর করে চিনের উপর। কিন্তু, প্রবল চাপের মুখে এবার উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সেই ব্যবসায়িক সম্পর্কে কাটছাঁট করতে চলেছে চিন। যদিও কূটনৈতিক মহলের ধারণা, কিছুটা অবসাদেই এই সিদ্ধান্ত চিনের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- 'ট্রাম্প উন্মাদ গ্যাংস্টার', তীব্র কটাক্ষ কিমের


২০০৬ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত পারমাণবিক শক্তিধর ৬টি ব্যালাস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। প্রথম থেকে পরিস্থিতি খারাপ না হলেও এই মিসাইল পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কিম প্রশাসনের মধ্যে শুরু হয়েছে স্নায়ুযুদ্ধ। ট্রাম্প প্রশাসনকে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছে জাপান, রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া। এরপরই আরও আগ্রাসী মনোভাব নেন কিম। গত দু'মাসে তাঁদের পারমাণবিক শক্তি প্রদর্শনেও গতি বাড়িয়েছে কিম।


এই পরিস্থিতিতে, উত্তর কোরিয়ার এহেন মনোভাবের বিরুদ্ধে যখন বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলি চাপ সৃষ্টি করা শুরু করেছে তখন চিনের পক্ষেও উল্টোপথ অবলম্বন করা সম্ভব ছিল না। অবশেষে, রাষ্ট্রপুঞ্জের চাপে পড়েই কিম সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করল চিন। যদিও কূটনৈতিক মহলের দাবি, সেই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও রয়েছে তাদের প্রতি সহানুভুতি। সংবাদ সংস্থা অনুসারে নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে পেট্রোপণ্য থেকে টেক্সটাইল। এছাড়াও প্রাকৃতিক গ্যাসের বরাদ্দও কমানো হয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।