নিজস্ব প্রতিবেদন: চিনে বড় বাজার পেতে চলেছে ভারতের ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। সোমবার, চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় ওষুধের উপর আমদানি শুল্ক কমানো হচ্ছে। এর ফলে ভারতের ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি চিনের বিপুল মাপের বাজার   অনেকটাই দখল করতে পারবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হঠাত্ চিনের এমন সিদ্ধান্ত কেন?


আরও পড়ুন- ৮ বছর পর জালে মিলল ৬০০ কেজির কুমির


বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিনে প্রতি বছর ৪৩ লক্ষ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ক্যান্সার চিকিত্সার ওষুধ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা ব্যয়বহুল বলে দাবি বেজিং-এর। সেই তুলনায় ভারতে দুরারোগ্য ওষুধের দাম অনেকটাই সস্তা। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিং জানিয়েছেন, এ বিষয়ে ভারত এবং চিনের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। উল্লেখ্য, গত মে মাসে ক্যান্সারের ওষুধের উপর আমদানি শুল্ক তুলে নেয় চিন। কিন্তু সে দেশের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে লাইসেন্স আদায় করতে না পারায় আইনিভাবে চিনা বাজারে ঢুকতে পারেনি ভারতীয় ওষুধসংস্থাগুলি।


আরও পড়ুন- অবশেষে স্বস্তি, গুহার গ্রাস থেকে মুক্ত ১৩ প্রাণ


এই মুহূর্তে ভারতীয় ওষুধ কেন গুরুত্বপূর্ণ চিনের কাছে?


দুরারোগ্য চিকিত্সা চিনে এতটাই ব্যয়বহুল যে সম্প্রতি ‘ডাইং টু সার্ভাইভ’ নামে একটি সিনেমা তৈরি হয় সে দেশে। সেই সিনেমায় লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত এক রোগীর জীবনের লড়াই দেখানো হয়েছে। যেখানে ব্যয়বহুল ওষুধ সস্তায় পেতে, আমাদানি শুল্ক তুলে দিচ্ছে চিনা সরকার। আর এই সিনেমাই যে জিনপিং সরকারকে অনুপ্রাণিত করেছে, তা স্পষ্ট হুয়া চুনিং-এর মন্তব্যে। তিনি বলেন, “ডাইং টু সার্ভাইভ সিনেমায় দেশের স্বার্থে ক্যান্সার ওষুধে জিরো ট্যারিফ প্রয়োগ দেখানো হয়েছে। দেশে এই সিনেমা অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে”।