নিজস্ব প্রতিবেদন: দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের শিনজিয়ান প্রদেশের মুসলিমদের ওপর সেদেশের প্রশাসনের নির্যাতনের অভিযোগ নতুন নয়। সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চরমপন্থী ইসলাম রোখার নামে সেখানকার মুসলিমদের মগজ ধোলাই করছে বেজিং। গোটা প্রদেশ ঘিরে ফেলা হয়েছে কড়া পাহারায়। পানের থেকে চুন খসলেই মামলায় জড়ানো হচ্ছে সেখানকার নাগরিকদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৩ সাল থেকে শিনজিয়াং-সহ চিনের বিভিন্ন জায়গায়  একাধিকবার জঙ্গি হানা হয়েছে। ২০১৪-তে উনান প্রদেশে কুমিং রেলওয়ে স্টেশনে জঙ্গি হানায় ৩৫ জনের প্রাণ গিয়েছে। এরপরই সন্ত্রাস রুখতে নড়েচড়ে বসে চিনা প্রশাসন। অভিযোগ, অধিকাংশ হামলাতেই দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের উইঘুর সম্প্রদায়ের সদস্যদের যোগ মিলেছে। সংবাদসংস্থা এপি সূত্রে খবর, উইঘুর সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের মাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। এই সম্প্রদায়ের উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে চিনা প্রশাসন।


আরও পড়ুন- সংকীর্ণ স্বার্থসিদ্ধি করতে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে চিন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমালোচনা ভারতের


এক উইঘুর ব্যবসায়ীর কথায়, "চিন থেকে পালিয়ে এসেছি। সেই কারণে আমার চার ভাই এবং বাবাকে জেলে পুরেছে প্রশাসন। পরিবারের ওপর চলছে নজরদারি।" ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তার পরিবারকে তিন মাসের জন্য শিক্ষাকেন্দ্রে পাঠিয়েছে সরকার। চিন সরকারের দাবি, উইঘুরদের মূলস্রোতে ফিরাতে নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সংবাদসংস্থা এপি-তে প্রকাশ, শিনজিয়ানের রাজধানী উরুমকিতে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রার উপর ১০০ পয়েন্ট ধার্য করেছে প্রশাসন। উইঘুর সম্প্রদায় হলে আগেই ১০ নম্বরকাটা যাবে বলে জানানো হয়েছে। ১৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সী উইঘুররা নমাজ পড়লে কিংবা ধর্মীয় শিক্ষা নিলে আরও ১০ নম্বর কাটা যাবে।


আরও পড়ুন- বড়দিনেই মিলন! কুলভূষণের স্ত্রী ও মায়ের ভিসা মঞ্জুর করল পাকিস্তান


চিনের শিনজিয়ান প্রদেশে প্রায় এক কোটি উইঘুরদের বাস। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মুখে পড়ে অনেকেই সেখান থেকে পালিয়ে চলে যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে বিপদ  বাড়তে পারে, এই আশঙ্কায় অনেকে আবার চিরতরে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন।