`চিন-আমেরিকা ঠান্ডা লড়াই করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর ভাইরাস` মত অর্থনীতিবিদের
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জেফ্রি ডেভিড স্যাক্স বলেছেন, আমেরিকা ও চিনের মধ্যে `শীতল যুদ্ধ` যে ভাবে ঘনিয়ে উঠছে, সেটা বিশ্বের পক্ষে করোনাভাইরাসের চেয়েও বেশি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা: ভয়ের ভাইরাস বিশ্বে! যা করোনার চেয়েও ভয়াবহ। ছড়াচ্ছে চিন-আমেরিকার পারস্পরিক সম্পর্ক।
আন্তর্জাতিক এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির বিশিষ্ট অধ্যাপক স্যাক্স বলেছেন, অতিমারীর পরে বিশ্ব একটা টালমাটাল পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, চিন ও আমেরিকার মধ্যে মতভেদ পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলবে। দু'দেশের মধ্যে এই শত্রুতার জন্য অবশ্য আমেরিকান প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন স্যাক্স। আমেরিকা বিশ্বে মোটেই সহযোগিতার বার্তাবাহী নয়, বরং বিভাজন সৃষ্টিকারী একটি শক্তির নামই যে আমেরিকা, তা-ও পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি।
তিনি যা বলেছেন, তার মর্মার্থ মোটামুটি এই: চিনের সঙ্গে নতুন করে একটা ঠান্ডা যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে আমেরিকা। যদি তার এই উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়, তা হলে বাকি বিশ্ববাসী কখনওই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে থাকতে পারবে না। বরং এর থেকে আরও জটিল মতবিরোধের পরিস্থিতি আসবে এবং তখন একটা বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হবে।
এ দিকে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অর্থনীতিকে ক্রমশ অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাওয়ার মতলবেই চিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়াকে উৎসাহিত করেছে বলে তিনি মনে করেন!
আরও পড়ুন: তাইওয়ানকে গুরুত্ব দিয়ে চিনকে বার্তা ভারতের