নিজস্ব প্রতিবেদন- তিনি বারবার অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। নির্বাচনের ফল নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। এর পর মামলা করেন। এত সহজে পদ ছাড়বেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন। সব শেষে তাঁর সমর্থকরা মার্কিন কংগ্রেসের ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালালেন। কিন্তু কোনও কিছুতেই শেষ রক্ষা হল না। মার্কিন কংগ্রেস ঘোষণা করে দিল, জো বিডেন (Joe Biden) নির্বাচনে জয়ী। হার মেনে নিতে হল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump)। নির্বাচনের ফল বদলের শত চেষ্টার পর ট্রাম্পকে ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হতে হল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ট্রাম্প অবশ্য আগে বলেছিলেন, তাঁর সমর্থকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালে তিনিও তাঁদের মাঝে থাকবেন। কিন্তু কথা রাখেননি তিনি। এদিন সমর্থকদের বিক্ষোভ হিংসাত্মক হওয়ার পর এসইউভি-তে চেপে হোয়াইট হাউসে (White House) চলে যান। হামলার ঘটনা তিনি দেখেন টিভির পর্দায়। এদিন একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ের ঢোকার চেষ্টা করেন ট্রাম্প সমর্থকরা। পুলিসের সঙ্গে তখনই প্রবল সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ক্যাপিটাল বিল্ডিং (Capital Building)-এর বাইরে পাঁচিলে চড়ে বসেন বহু সমর্থক। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে বিরাট পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। 


আরও পড়ুন-  গুলি-বোমায় উত্তাল আমেরিকা, ক্যাপিটল বিল্ডিং হামলায় ট্রাম্প সমর্থক-পুলিসের খণ্ডযুদ্ধ


৩ নভেম্বরই ঠিক হয়ে গিয়েছিল, পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন জো বিডেন। এর পর থেকেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করতে থাকেন ট্রাম্প। Us capital historical society-র ডিরেক্টর স্যামুয়েল হলিডে জানিয়েছেন, ১৮১৪ সালের ২৪ অগাস্ট ওয়াশিংটনে হামলা করিয়েছিল ব্রিটেন। ব্রিটিশ সেনা ইউএস ক্যাপিটাল-এ আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। তার পর গত ২০৬ বছরে কখনও আমেরিকার সংসদে হামলার ঘটনা ঘটেনি। এদিন ট্রাম্প সমর্থকদের এই হামলাকে গণতন্ত্রের লজ্জা বলে ব্যাখ্যা করেছেন হলিডে। উল্লেখ্য, নির্বাচনে বাইডেন পেয়েছিলেন ৩০৬টি ভোট। ২৩২টি পান  ট্রাম্প।