নিজস্ব প্রতিবেদন: এখনও পর্যন্ত যা প্রবণতা, কোভিড-১৯ আক্রান্তে অশীতিপরদেরই বেশি মৃত্যু হচ্ছে। ৮০ বছরের উর্ধ্বে মৃত্যু হয়েছে মোট সংখ্য়ার ২০ শতাংশ। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ৩.৯২ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত। মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ হাজারের বেশি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিসংখ্য়ান বলছে, ৮০ বছরের বেশি বয়সে মৃত্যু হয়েছে ২১.৯ শতাংশ। এরপর রয়েছেন ৭০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী মানুষ। যাঁদের মৃত্য়ুর হার ৮ শতাংশ। ৬০ থেকে ৬৯ বয়সে ৩.৬ শতাংশ এবং ৫০ থেকে ৫৯ বয়সে মৃত্যুর হার ১.৩ শতাংশ। তবে, ১০ থেকে ৪০ বছর বয়সী মানুষ যে করোনা আক্রান্তে মারা যাননি এমনটা নয়। 


চিকিত্সকদের মতে, ষাটোর্ধ্ব মানুষ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভোগেন। করোনা তাঁদেরকে আরও বেশি কাবু করতে সক্ষম হয়। তবে, মোট মৃত্যুর ০.২ শতাংশ ১০ থেকে ৪০ বছর বয়সী মানুষ করোনার কামড়ে প্রাণ হারিয়েছে এমনও নজির রয়েছে।


আরও পড়ুন- একে করোনায় রক্ষে নেই, এবার চিনে আবির্ভাব হন্তাভাইরাসের, মৃত ১


WHO প্রধান টেড্রস আধানম জানাচ্ছেন, করোনা মোকাবিলায় তরুণ-তরুণীরা অপরাজেয়, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। তাঁদেরকেও সাবধানে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। ট্রেডসের কথায়, এমনও দেখা গিয়েছে এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি থেকেও কম বয়সী মানুষের মৃত্য়ু হয়েছে।



শনিবার, শি জিনপিং দেশবাসীকে স্পষ্ট বার্তা দেন, তুমি যদি সুস্থ থাকো, তাহলে তুমি জীবন এবং মৃত্য়ুর মাঝে দাঁড়িয়ে। তোমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কোন দিকে হাঁটবে। চিনের থেকে শিক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যে লকডাউনের ঘোষণা করেছে ভারত। করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশবাসীকে ঘরে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ভারতে ৬০ কোটি মানুষের গড় বয়স ২৫ বছরের নীচে। এই তরুণ প্রজন্ম যদি সঠিক সাবধানতা অবলম্বন করে, তাহলেই করোনা রোখা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।