নিজস্ব প্রতিবেদেন— করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সাজামিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিসকরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছিল, দুজন মানুষের মধ্যে কমপক্ষে ছয় ফুট দূরত্ব থাকলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, দুজন মানুষ তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখলেই করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়িয়ে চলা সম্ভব। অর্থাত্, আসলে ঠিক কতটা দূরত্ব বজায় রাখলে ঠেকানো যাবে করোনা সংক্রমণ, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। এবার সেই ধোঁয়াশা আরও কিছুটা গাঢ় করে দিলেন এক মার্কিন গবেষক। তিনি সিডিসি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি উড়িয়ে দিলেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অধ্যাপক লিডিয়া বুরিবা জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন সেকেলে ধারণার উপর তৈরি। ১৯৩০ সালে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে ২০২০ সালে নির্দেশিকা জারি করলে চলবে না। লিডিয়া দাবি করেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে তিন বা ছয় ফউট দূরত্ব বজায় রাখার যুক্তি একেবারেই নিরাপদ নয়। গত সপ্তাহে আমেরিকান মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে তিনি বলেছেন, দুজন মানুষ ২৩ থেকে ২৭ ফুট দূরত্ব বজায় রাখলেও করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। করোনাভাইরাস বাতাসে বেশিক্ষণ বাঁচে না, এই যুক্তিও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাতাসে বেঁচে থাকতে পারে করোনাভাইরাস।


আরে পড়ুন— "লকডাউনেও কর্মীদের বেতন দিচ্ছি, সাহায্য করুক সরকার" কাতর আর্তি ফেরার মালিয়ার


লিডিয়া বুরিবার দাবি উড়িয়ে দিতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমআইটি গবেষকের দেওয়া নতুন তথ্যের প্রেক্ষিতে সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনা নিয়ে আরও তথ্য পাওয়া গেলে গাইডলাইনে বদল করা হবে। লিডিয়া অবিলম্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনে বদল আনার দাবি তুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, হু—র গাইডলাইন মেনে মানুষ নিরাপদ থাকবে না। দুজন মানুষ ছয় ফুট দূরত্বে থাকলে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাবে।