নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ। মত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে সাতশোর কাছাকাছি। এরমধ্যেই করোনা থাবা বসাল কক্সবাজারের রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবিরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-প্রবল যন্ত্রণায় এদিক ওদিক ছোটাছুটি করেছিল সেই গর্ভবতী হাতি, তবু কারও ক্ষতি করেনি


রবিবার টেকনাফের রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবিরে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭১ বছরের এক বৃদ্ধের। তাঁকে রাখা হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘ পরিচালিত আইসোলেশনে। বর্তমানে আরও ৯ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। উদ্বেগের বিষয় হল এশিয়ার বৃহত্তম এই উদ্বাস্তু শিবিরে রয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।


কক্সবাজারের সিভিল সার্জেন ডাক্তার মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশের এক দৈনিককে জানিয়েছেন, আমাদের জন্য একটা খারাপ খবর রয়েছে। সেটি হল রবিবার এক রোহিঙ্গা বৃদ্ধ করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন। তবে তাঁর করোনার রিপোর্ট এসেছে সোমবার। তাঁকে রাষ্ট্রসংঘ পরিচালিত এক আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত কক্সবাজারের ওই উদ্বাস্তু শিবিরে ২৯ জন কোভিড পজিটিভ হয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যেমের খবর।


আরও পড়ুন-চাকরি বাঁচাতে ৫০০ টাকা খরচা করেই ছুটতে হচ্ছে অফিস, সারা মাসের খরচ শেষ ২ দিনেই


উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ বাংলাদেশ প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। তার পরেই ওই উদ্বাস্তু ক্যাম্প বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুনিয়ার একাধিক মানবাধিকার সংস্থা আগেই বাংলাদেশকে সতর্ক করেছিল, উদ্বাস্তু শিবিবে করোন পৌঁছালে তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংস্থা, হিউমান রাইটস ওয়াচের এশিয়ার প্রধান ব্রাড অ্যাডামস জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনার সংক্রমণ আটকাতে হবে। কিন্তু দেখতে হবে লকডাউনের ফলে যেসব নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তা যেত ওদের যন্ত্রণার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।