অতি দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস! গ্রীষ্মের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা
আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে শ্বাসযন্ত্রের বেশ কিছু সংক্রমণ। কোভিড-১৯ অন্য সংক্রমণের মতো হলে গ্রীষ্মের মরশুমে এই ভাইরাসের বিস্তার অনেকটা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন— বিশ্বব্যাপী মহামারির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে করোনাভাইরাস। প্রায় ২১ হাজার মানুষ ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন সারা বিশ্বে। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে দিন দিন। কোনওভাবেই এই মারণ ভাইরাসের বিস্তার আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। এরই মধ্যে একদল বিজ্ঞানী আশার কথা বলছেন। বিশ্বের বহু দেশে এখন শীত বিদায়ের সময়। গ্রীষ্মকালে এই ভাইরাসের বিস্তার কমবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে শ্বাসযন্ত্রের বেশ কিছু সংক্রমণ। কোভিড-১৯ অন্য সংক্রমণের মতো হলে গ্রীষ্মের মরশুমে এই ভাইরাসের বিস্তার অনেকটা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদী না হলেও সাময়িক সময়ের জন্য স্বস্তি পেতে পারে গোটা বিশ্ব। মেরিল্যান্ড ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজির সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজাদি বলেছেন, গরম আবহাওয়ায় এক মানুষের থেকে আরেক মানুষে ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে যায়। রৌদ্রজ্জ্বল দিন ও গরম আবহাওয়া এই ভাইরাসের বিস্তার কমাতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়। ৫ ডিগ্রিথেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা থাকলে এই ভাইরাস সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন— মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রাক তৈরি থাকছে, মার্কিন হাসপাতালের মর্মান্তিক স্বীকারোক্তি
শুধুমাত্র আবহাওয়া পরিবর্তনের মাধ্যমেই এই ভাইরাসের প্রকোপ একেবারে বন্ধ করা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন একদন বিজ্ঞানী। চিনের বেইহাং এবং সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বলছেন, চিনে অনেক শহরে আবহাওয়া এখন উষ্ণ হওয়ায় কোভিড-১৯—এর বিস্তার কমেছে। যদিও তারা বলেছেন, গরম আবহাওয়া এই ভাইরাসের প্রকোপ কমাতে পারে। কিন্তু বিস্তার রোধ করতে পারবে না। ডিসেম্বরে করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকে চিনে। সেই সময় ঠীণ্ডা আবহাওয়ার জন্যই ভাইরাসের প্রকোপ মাত্রাতিরিক্ত হয়েছিল বলে ধারণা করছেন গবেষকরা।