নিজস্ব প্রতিবেদন : চিন ও ইতালিকে পেরিয়ে করোনাভাইরাসের এপিসেন্টার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ১০,৯৪১। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার। এর মধ্যে নিউ ইয়র্কেই আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩১ হাজারেরও বেশি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিউ ইয়র্কের রাস্তা জুড়ে এখন শুধুই অ্যাম্বুলেন্স, দমকল বাহিনী ও পুলিস-প্রশাসনের সাইরেনের শব্দ। স্বাস্থ্যকর্মীদের মতে এখনও অভাব রয়েছে প্রয়োজনীয় টেস্ট কিটের। সংক্রমণ ছড়ানো রোধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাবের অভিযোগও করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। 


হাসপাতালগুলির আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থান সংকুলানের অভাবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে হাসপাতাল চত্বরের বাইরেই তাঁবু করে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমনকি সেন্ট্রাল পার্কেও তাঁবু করে অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টারের ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য দফতর।



আরও পড়ুন: অবস্থা সঙ্কটজনক, ICU-তে প্রাইম মিনিস্টার বরিস, করোনা আতঙ্কে থরহরিকম্প ব্রিটেন


এনবিসি নিউজ বুলেটিনের রিপোর্ট অনুসারে নিউ ইয়র্কের অপেক্ষাকৃত কম বিত্তশালীদের স্থানেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা বেশি। কম স্থানে ঘিঞ্জিভাবে প্রচুর মানুষের বসবাস, সচেতনতার অভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নিউ ইয়র্কে সাবওয়ে বা পাতাল রেলের মাধ্যমেও সংক্রমণ ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪,৭৫৮ জন। 


প্রাক্তন মার্কিন সেনার ক্যাপ্টেন ডারিন পোর্চার জানান, টেস্ট কিটের অভাব ও সংক্রমণ রোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই সরকারি আইসোলেশন কেন্দ্রগুলি। তিনি বলেন, "এই হাসপাতালগুলি সাধারণত ছোটখাটো সার্জারি বা অ্যাক্সিডেন্ট এমার্জেন্সি মোকাবিলার কাজ করে। এই ধরণের নতুন একটা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য সরকারি হাসপাতালগুলি স্বাভাবিকভাবেই প্রস্তুত নয়।"


করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যার নিরিখে নিউ ইয়র্কের পরেই নিউ জার্সি। নিউ জার্সিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪১ হাজার। প্রাণ হারিয়েছেন  ১,০০০ জনেরও বেশি।


আরও পড়ুন: ভারত যদি ওষুধ না দেয় ছেড়ে কথা বলবে না আমেরিকা! হুঙ্কার ট্রাম্পের