নিজস্ব প্রতিবেদন - এক, দুদিন নয়। টানা চার মাস ধরে সেই গাড়ি পড়ে রয়েছে পার্কিং জোন-এ। সেই গাড়ির কোনও দাবিদার নেই। এমনিতে সেই গাড়ি নিয়ে কোনও রহস্য দানা বাঁধত না। এমন তো কত গাড়িই মাসের পর মাস পার্কিং জোনে পড়ে থাকে। কিন্তু এই গাড়ির নম্বর প্লেটের জায়গায় লেখা Covid 19. এমন লেখার জন্যই ওই গাড়ি ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। এমনিতে কাভার দিয়ে ঢাকা ছিল সেই গাড়়ি। দিনকয়েক আগে পার্কি জোন-এর নিরাপত্তরক্ষীরা কভার সরান। তার পরই দেখা যায় যে সেই গাড়িতে কোভিড ১৯ লেখা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফেব্রুয়ারি থেকেই নাকি সেই গাড়ি অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড বিমানবন্দরের পার্কি জোনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বিমানবন্দরের কর্মীদের গাড়ি যেখানে থাকে সেখানেই রয়েছে।  স্টিভেন স্প্রে নামের বিমানবন্দরের এক কর্মী ওই গাড়ির ছবি তুলে পোস্ট করেন। তার পর সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও পার্কিং জোনে থাকা অনেকে মনে করছেন, গাড়িটি কোনও পাইলটের হতে পারে। তিনি হয়তো অন্য কোনও দেশে গিয়ে লকডাউনের জেরে আটকে গিয়েছেন। চার মাস ধরে ফিরতে পারেননি। কিন্তু পার্কি জোনের দায়িত্বে থাকা লোকজনের কাছে তা নিয়ে কোনো তথ্য নেই। ছাই রংয়ের বিএমডব্লিউ গাড়িটি ফেব্রুয়ারি থেকে পড়ে রয়েছে।


আরও পড়ুন-  মাস্ক ছাড়াই সেনার অনুষ্ঠানে হাজির মন্ত্রী! ভুল বুঝতে পেরে হাত দিয়ে ঢাকলেন মুখ


অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ হয়েছিল ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়। স্প্রে জানিয়েছেন, এত দামি গাড়ি এভাবে ফেলে রাখার সাহস কোনও বিমান কর্মী দেখাবেন না বলে তিনি মানতে পারছেন না। ওই পার্কিং জোনে কেউ নিজের গাড়ি ৪৮ ঘন্টার বেশি রাখতে পারেন না। এই বিএমডব্লিউ গাড়ির লাইসেন্স ২০২০ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রয়েছে। অর্থাত উহানে করোনা ছড়ানোর এক মাস আগে সেই গাড়ির লাইসেন্স হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সরকারি ওয়েবসাইট অবশ্য বলছে, কোভিড-১৯ নামে কোনও গাড়ির লাইসেন্স নথিভুক্ত নেই। এই গাড়ি নিয়ে রহস্য ক্রমশ দানা বাঁধছে।