নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনায় মৃত্যু হয়েছে ডি কোম্পানির মালিক দাউদ ইব্রাহিমের। এমন জল্পনাতে গত সপ্তাহে উত্তাল ছিল নেট দুনিয়া। তবে ওই খবর একেবারে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে দাউদের ভাই আনিস ইব্রাহিম। সেখানেই থেমে নেই দাউদের মৃত্যু নিয়ে জল্পনা। নিউজ পোর্টাল সানডে গার্ডিয়ান-এর দাবি, পাক সেনার নির্দেশেই খুন করা হয়েছে মোস্ট ওয়ান্টেড দাউদকে। এমনকি পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-ও চাইছিল মাথা থেকে দাউদকে নামিয়ে দিতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কীভাবে এতবড় দাবি করা হচ্ছে


ওই পোর্টালটির দাবি, রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনা সদর GHQ সূত্রে এমন কথাই বলছেন ভারত ও পাকিস্তানের গোয়েন্দারা। বলা হচ্ছে ২০১৭ সাল থেকেই পাকিস্তানে দাউদের কাজকর্মের ওপরে নজর রাখা হচ্ছিল। শুধু তাই নয় দাউদের আত্মীয়দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, ডি কোম্পানি প্রধানের মৃত্যুর খবর অস্বীকার করতে হবে। গোয়েন্দাদের দাবি, পাক সেনা চাইছিল দাউদকে পাকিস্তান থেকে ‘উধাও’ করে দিতে। কারণ বেশ কয়েকজন মার্কিন নাগরিকের হত্যার সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল দাউদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাউদকে প্রত্যার্পণ করার চাপ দিচ্ছিল ইসলামাবাদের ওপরে।


আরও পড়ুন-কলকাতা পুলিসের STF-এর হাতে আরও এক JMB-র শীর্ষ নেতা রেজাউল করিম


কীভাবে হত্যা


গোয়েন্দা সূত্রে খবর, যে সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে দাউদ থাকে সেখানে থেকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। বরং চিকিত্সার নামে তাকে সু-কৌশলে কোনও বিষ ইঞ্জেকশন দিয়ে দেওয়া হতে পারে। তার ফলেই তার মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর হয়ে যায়।


আরও পড়ুন-কবে প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসে, শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জানাল চিন!


কেন হত্যার সম্ভাবনা বেশি


পাকিস্তান বরাবারই দাবি করতো ওসামা বিন লাদেন পাক মাটিতে নেই। কিন্তু শেষপর্যন্ত অ্যাবোটাবাদের ক্যানটনমেন্ট এলাকার কাছ থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় মার্কিন নেভি সিল। দাউদ ইব্রাহিমের ক্ষেত্রেও একই দাবি করে আসছে পাকিস্তান। এর আগেও তার মৃত্যুর খবর রটানো হয়েছে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন সহ একাধিক দেশের চাপ। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি নিয়মিত দাউদ সম্পর্কে তথ্য ওইসব দেশকে দিয়ে আসছে। আর তাতেই চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। ফলে পাক সেনার মাথা থেকে দাউদকে ঝেড়ে ফেলা অস্বাভাবিক নয়।