নিজস্ব প্রতিবেদন: মানসিক অবসাদ থেকেই ক্যাম্পাসে বারুদ বর্ষণ করেছিল বন্দুকবাজ নিকোলাস, এমনই দাবি করল বিশেষজ্ঞরা। ফ্লোরিডার স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও আতঙ্কে ঘুম আসছে না ফ্লোরিডাবাসীর। শুধুমাত্র মৃত পড়ুয়াদের পরিবারই নয়, এই ঘটনা যাঁরাই জেনেছেন তাঁরাই শিউরে উঠেছেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে এত হিংস্র কীভাবে হতে পারে কেউ? বিস্ময় কেবলই বিস্ময়!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- এক বছরে ২১ ধর্ষণ, বাসে যাত্রী নিরাপত্তার ভয়ঙ্কর অবস্থা বাংলাদেশে!


যদিও খুনি নিকোলাসের প্রতিবেশীরা কিন্তু একটুও অবাক হয়নি এই ঘটনায়। যদি এমন ভয়াবহ কাণ্ড কেউ ঘটাতে পারে তো নিকোলাসই পারে! নিকোলাসের দীর্ঘদিনের এক প্রতিবেশী ম্যালকম রক্সবার্গ বলেন, "নিকোলাস এখানে থাকলে সপ্তাহে দু'বার অন্তত পুলিস আসতই। তার মাথায় সব সময় বদ বুদ্ধি ঘুরে বেড়ায়।" প্রতিবেশীরা আরও জানাচ্ছেন, সে বন্দুক নিয়ে খেলতে ভালবাসে। এবং তা দিয়ে সবাইকে ভয় দেখাতেও  ওস্তাদ ছিল নিকোলাস। কখনও গুলি করে কাঠবিড়ালি মারছে, কখনও বা ব্যাঙ। কখনও সহপাঠীর সঙ্গে লড়াই করছে। কখনও বা সহপাঠীর কান কামড়ে দিচ্ছে। এমন আচরণের জন্য বছর খানেক আগেই পার্কল্যান্ডের মারজরি স্টোনম্যান ডগলাস স্কুল থেকে বহিষ্কার হয়েছে নিকোলাস। এর আগে আরও দুটি স্কুল থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে তাকে।


আরও পড়ুন- ভারতে সফরে আজই নিজাম শহরে পা দিচ্ছেন ইরানের রাষ্ট্রপতি


কেন মানসিক অবসাদে ভুগছিল নিকোলাস? ফ্লোরিডা পুলিস যদিও এই মুহূর্তে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। তবে প্রতিবেশীদের মতে, নিঃসঙ্গ জীবন ওকে আরও বেশি অবসাদে ডুবে যেতে বাধ্য করেছে। পরিবার ছাড়া নিকোলাস বেশিরভাগ সময়ই বন্ধুর বাড়িতে থাকত।  তার মা লিন্ডা বছর খানেক আগে গত হয়েছে। বাবা অনেক দিন আগেই মারা যায়। নিকোলাসের অভব্য আচরণের জন্য শুধু প্রতিবেশীরাই নয়, স্কুলের সহপাঠীরাও তার সঙ্গে মিশত না। এর পাশাপাশি স্কুল থেকে বহিষ্কারের ঘটনা তাকে আরও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে বলেই মত অনেকের।


আরও পড়ুন- মাঝ আকাশে ভেঙে পড়ল বিমানের খোল, তবু বেঁচে ফিরলেন সব যাত্রীই