লণ্ডভণ্ড চিন, সৌজন্যে মেজি
গত সপ্তাহে মেরান্তি। এবার মেজি। চলতি বছরে পর পর ১৭বার ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত চিন। বিভিন্ন শহরে তাণ্ডব। বিপর্যস্ত জনজীবন।
ওয়েব ডেস্ক: গত সপ্তাহে মেরান্তি। এবার মেজি। চলতি বছরে পর পর ১৭বার ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত চিন। বিভিন্ন শহরে তাণ্ডব। বিপর্যস্ত জনজীবন।
১৫ সেপ্টেম্বর তাইওয়ান থেকে চিনে আছড়ে পড়েছিল সুপার টাইফুন মারান্তি। একটানা বৃষ্টি আর মাটি ধ্বসে কেবল ঝেজিয়াং প্রদেশেই প্রাণ হারিয়েছিলেন দশজন।
প্রশান্ত মহাসাগরের উপর ঘণীভূত নিম্নচাপ। তার থেকেই উত্পত্তি সুপার টাইফুন মেজির। আপাতত এটাই চিনে আছড়ে পড়া সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।
আরও পড়ুন- রামধনু হ্রদ
মঙ্গলবার তাইওয়ানে আছড়ে পড়েছিল মেজি। ঝড়ে তছনছ হয়ে যায় গোটা শহর। উপড়ে যায় গাছ, ল্যাম্প পোস্ট। বিদ্যুত্হীন দশ লক্ষাধিক বাড়ি। বন্ধ অধিকাংশ রাস্তা। থমকে যায় বুলেট ট্রেন পরিষেবাও। টাইফুনের তাণ্ডবে বুধবারও সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছিল প্রশাসন।
তাইওয়ানে বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পডড়েন জাপানি পর্যটকরা। শহর ঘুরে দেখার সময় জাতীয় সড়কে হঠাতই উল্টে যায় তাঁদের বাতানুকুল বাস। জখম হন বেশকয়েকজন। অধিকাংশই পঞ্চাশ থেকে ষাটোর্দ্ধ।
আরও পড়ুন- ভারতের চালে উপমহাদেশে এবার একঘরে হওয়ার পথে পাকিস্তান!
বুধবার চিনের কুয়াংঝাও শহরে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মেজি। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১৮ কিলোমিটার। ফুজিয়ান ছাড়া আরও চার প্রদেশে বৃষ্টিপাত ৩০০ মিলিমিটারেরও বেশি। অন্যান্য জায়গায় ২০০ মিলিমিটার। বৃষ্টিতে প্রায় সব নদীরই জল বেড়েছে। একাধিক রাস্তা জলের তলায়। সিগন্যালিং ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বিভিন্ন রাস্তায় ব্যাপক যানজট। দুর্যোগে বিপর্যস্ত জনজীবন।