অসম্ভব দ্রুত হারে গলছে আন্টার্কটিকার বরফ
জমাট এই বরফ-সাম্রাজ্যে ফাটল ধরেছে অনেক আগেই। সেই ফাটল চওড়া হচ্ছে। ফাটলের গভীরতা বাড়ছে। আরও। বিজ্ঞানীরা তো রীতিমতো থ। অসম্ভব দ্রুত হারে গলছে আন্টার্কটিকার বরফ। হিমবাহ।থাকে থাকে সাজানো পুরু বরফের চাদরে মোড়া আন্টার্কটিকা। সেই আন্টার্কটিকার সবচেয়ে বড় আর সবচেয়ে পুরু বরফের চাদর লারসেন সি আইস শেল্ফ। সেই চাদরেই ফাটল ধরেছে ১০০ মাইল দীর্ঘ এলাকা জুড়ে। জানুয়ারির প্রথম দুসপ্তাহেই সেই ফাটল আরও ৬ মাইল বেড়ে গিয়েছে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে এই ফাটল বাড়ে ১১ মাইল। মানে, এক মাসেরও কম সময়ে আন্টার্কটিকার সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে পুরু বরফের চাদরে ফাটল বেড়েছে কম করে ১৭ মাইল।ফাটল ধরা মানেই সেই ফাটলের ফাঁক গলে ঢুকতে থাকবে সূর্যালোক। ঢুকবে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড।ফলে, জমাট বরফ এবার গলতে শুরু করবে। আন্টার্কটিকার জমাটবাঁধা বরফ-সাম্রাজ্য ভরে যাবে থইথই জলে। আর তা আন্টর্কটিকার ভূগোলে ঘটিয়ে দেবে এক বড়সড় পালাবদল।পৃথিবীর মহাসাগরগুলোর জলস্তর কম করে আরও ৪ ইঞ্চি ওপরে তুলে দেবে। যার ফলে ওই মহাসাগরগুলোর সংলগ্ন বহু এলাকা, বহু দেশ অদূর ভবিষ্যতে চলে যেতে পারে গভীর জলের তলায়। সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের গবেষণায় আন্টার্কটিকায় বরফ-সাম্রাজ্যে অপ্রকাশিত গতিতে ফাটল বেড়ে চলার তথ্যটি প্রমাণিত হয়েছে। গবেষকরা আন্টার্কটিকার বরফ-সাম্রাজ্যে বড়সড় ফাটল ধরার তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করেন মহাকাশে পাঠানো নাসার বিভিন্ন উপগ্রহের মাধ্যমে।
ওয়েব ডেস্ক: জমাট এই বরফ-সাম্রাজ্যে ফাটল ধরেছে অনেক আগেই। সেই ফাটল চওড়া হচ্ছে। ফাটলের গভীরতা বাড়ছে। আরও। বিজ্ঞানীরা তো রীতিমতো থ। অসম্ভব দ্রুত হারে গলছে আন্টার্কটিকার বরফ। হিমবাহ।থাকে থাকে সাজানো পুরু বরফের চাদরে মোড়া আন্টার্কটিকা। সেই আন্টার্কটিকার সবচেয়ে বড় আর সবচেয়ে পুরু বরফের চাদর লারসেন সি আইস শেল্ফ। সেই চাদরেই ফাটল ধরেছে ১০০ মাইল দীর্ঘ এলাকা জুড়ে। জানুয়ারির প্রথম দুসপ্তাহেই সেই ফাটল আরও ৬ মাইল বেড়ে গিয়েছে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে এই ফাটল বাড়ে ১১ মাইল। মানে, এক মাসেরও কম সময়ে আন্টার্কটিকার সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে পুরু বরফের চাদরে ফাটল বেড়েছে কম করে ১৭ মাইল।ফাটল ধরা মানেই সেই ফাটলের ফাঁক গলে ঢুকতে থাকবে সূর্যালোক। ঢুকবে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড।ফলে, জমাট বরফ এবার গলতে শুরু করবে। আন্টার্কটিকার জমাটবাঁধা বরফ-সাম্রাজ্য ভরে যাবে থইথই জলে। আর তা আন্টর্কটিকার ভূগোলে ঘটিয়ে দেবে এক বড়সড় পালাবদল।পৃথিবীর মহাসাগরগুলোর জলস্তর কম করে আরও ৪ ইঞ্চি ওপরে তুলে দেবে। যার ফলে ওই মহাসাগরগুলোর সংলগ্ন বহু এলাকা, বহু দেশ অদূর ভবিষ্যতে চলে যেতে পারে গভীর জলের তলায়। সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের গবেষণায় আন্টার্কটিকায় বরফ-সাম্রাজ্যে অপ্রকাশিত গতিতে ফাটল বেড়ে চলার তথ্যটি প্রমাণিত হয়েছে। গবেষকরা আন্টার্কটিকার বরফ-সাম্রাজ্যে বড়সড় ফাটল ধরার তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করেন মহাকাশে পাঠানো নাসার বিভিন্ন উপগ্রহের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন মিস ইউনিভার্সের খেতাব জিতলেন ফরাসি সুন্দরী
গবেষণাপত্রে লেখা হয়েছে, মহাসাগরগুলির জলস্তরের সমান্তরালেই রয়েছে আন্টার্কটিকার ওই সবচেয়ে বড় আর সবচেয়ে পুরু বরফের চাদর লারসেন সি আইস শেল্ফ। তবে, সৌভাগ্যের কথা একটাই, ফাটল ধরায় ওই বরফ গললেও মহাসাগরগুলিতে এখনই সেই জল মেশার সম্ভাবনা কিছুটা কম। কারণ, ওই লারসেন সি আইস সেল্ফের সামনেই রয়েছে ১২ মাইল লম্বা একটা শক্তপোক্ত বরফের প্লেট। সেই প্লেটটাই লারসেন সি আইস শেল্ফের বরফগলা জলকে মহাসাগরগুলিতে মিশতে দিচ্ছে না। তাই বিপদটা হয়ত এখনই নেই। কিন্তু ১২ মাইল লম্বা প্লেটটাও যদি অদূর ভবিষ্যতে গলতে শুরু করে দেয়, তা হলে মহাসাগরগুলির জলের স্তর অস্বাভাবিকভাবে ওপরে উঠে গিয়ে বহু এলাকা আর বেশ কয়েকটি দেশকে ভাসিয়ে দেবে।
আরও পড়ুন কানাডার মসজিদে বন্দুকবাজের হানায় মৃত পাঁচ