Israel Palestine Conflict: গাজার উপরে ভয়ংকর হোয়াইট ফসফরাস বোমা ফেলছে ইজরায়েল!
Israel Palestine Conflict: ইজরায়েল আগেই স্বীকার করেছে ২০০৬ সালে লেবাননের হেজবুল্লার সঙ্গে লড়াইয়ে তারা হেয়াইট ফসফরাস বোমা ব্যবহার করেছিল। ২০০৮-০৯ সালে গাজার লড়াইয়েও তারা এই বোমা ফেলেছিল
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইজরায়েল-গাজা লড়াইয়ে এখনওপর্য়ন্ত ১৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ইজরায়েলি সেনার। গাজা সীমান্তের অধিকাংশ এলাকা থেকে হামাসকে হঠিয়ে দিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নেতেনিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইজরায়েল সরকার গাজার উপরে ফেলছে নিষিদ্ধ হোয়াইট ফসফরাস বোমা। সেরকম বহু ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন-ঘরে ঘরে তল্লাশি, গাজা সীমান্তে ১৫০০ হামাস যোদ্ধার মৃতদেহের খোঁজ ইজরায়েলে
এই ধরনের ফসফরাস বোমার ব্য়বহার শেষবার ইউক্রেনের উপরে করেছিল রাশিয়া। এরকম হোয়াইট ফসফরাস বোমা ব্যবহারকে যুদ্ধাপরাধ বলেই মনে করা হয়। প্যালেস্টাইন অনলাইন একটি ট্যুইট করে সেই ছবি প্রকাশ করে দাবি করেছে ওই বোমা উত্তর গাজায় ফেলেছে ইজরায়েল।
ফসফরাসের সঙ্গে রবার মিশিয়ে তৈরি হয় হোয়াইট ফসফরাস। দেখতে অনেকটা মোমের মতো। এটিকে ৮০০ সেলসিয়াসে তাপমাত্রায় পোড়ালে ১৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো তাপমাত্রা তৈরি হতে পারে। অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে এটি ঘন সাদা ধোঁয়ার সৃষ্টি করে। এর কাছাকাছি এলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শ্বাসের সঙ্গে শরীরে গেলে এটি চর্মরোগ ও জটিল কোনও সমস্যা হতে পারে। চামড়ার সংস্পর্শে এলে এটি চামড়া পোড়াতে তো বটেই হাড় পর্যন্ত পুড়িয়ে দিতে পারে। কখনও কখনও অন্ধকারে টার্গেটকে আলোকিত করতে হোয়াইটি ফসফরাস ব্য়বহার করা হয়।
এই ধরনের অভিযোগ অভ্যস্ত ইজরায়েল। তাঁর আগেই স্বীকার করেছে ২০০৬ সালে লেবাননের হেজবুল্লার সঙ্গে লড়াইয়ে তারা হেয়াইট ফসফরাস বোমা ব্যবহার করেছিল। ২০০৮-০৯ সালে গাজার লড়াইয়েও তারা এই বোমা ব্যবহার করেছিল। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তুলেছিল আন্তর্জাতিক মহল।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)