নিজস্ব প্রতিবেদন: জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি TS Trimurti বুধবার বলেন, "জাতিগত বা অন্য বৈষম্যকে সন্ত্রাসবাদের অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে"। তিনি জাতিসংঘকে জানান সন্ত্রাসবাদকে যেন কোনোভাবেই সমর্থন করা না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ডারবান ঘোষণাপত্র গ্রহণের ২০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই মন্তব্য করেছেন Trimurti। মহাত্মা গান্ধীর আদর্শকে তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, "ঔপনিবেশিকতা এবং জাতিগত বৈষম্য প্রতিরোধ করার জন্য, মহাত্মা গান্ধী সত্যাগ্রহ, অর্থাৎ সত্য এবং অহিংসার অস্ত্র তৈরি করেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি ভারতকে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে যান। আমাদের জাতি গণতন্ত্র, বহুত্ববাদ, সমতা এবং ন্যায়বিচারের নীতির উপর নির্ভর করে। ভারতীয় সংবিধানে বর্ণবাদ এবং জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে"। 


 আরও পড়ুন: Weather Alert: জোড়া নিম্নচাপের জের, জারি থাকবে ভারী বৃষ্টি, সতর্ক করল মৌসম ভবন


তিনি আরও জানান, "আমরা দেখেছি কিভাবে জাতিগত বা অন্য বৈষম্যকে, মানুষ নিজেদের জীবনে সন্ত্রাসবাদকে গ্রহণের অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে। আমরা জাতিসংঘের সংস্থাদের প্রতি আহ্বান জানাই যে, সন্ত্রাসকে কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য বৃদ্ধি করে"। অন্যদিকে "infodemic"-এর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন সোশ্যাল মিডিয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন নতুন ধরণের সংবাদের মাধ্যমে জাতি বিদ্বেষ এবং বৈষম্যমূলক ধারণা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। 


Trimurti জানান ভারত Durban Declaration and Programme of Action-এর প্রতি দায়বদ্ধ এবং এর কার্যকরী বাস্তবায়নের জন্য ভারত সবরকম ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। জাতিসংঘের (United Nations) মহাসচিব (Secretary General) আন্তোনিও গুতেরেস (Antonio Guterres) তার বক্তব্যে বলেন, "ডারবান ঘোষণার ২০ বছর পর, বর্ণবাদ এখন বিদ্বেষের মুলে রয়েছে" এবং বিশ্বে এন্টিসেমিটিজম, মুসলিম বিরোধী গোঁড়ামি এবং সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের সাথে দুর্ব্যবহারের "উদ্বেগজনক বৃদ্ধি" ঘটছে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)