নিজস্ব প্রতিবেদন: অত্যন্ত আপত্তিকর এবং বিরক্তিজনক। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর 'ঘনিষ্ঠ ও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক' সংক্রান্ত জল্পনা প্রসঙ্গে মুখ খুলে এই ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া জানালেন রাষ্ট্রপুঞ্জে মার্কিন প্রতিনিধি নিকি হ্যালে। দুই দশক দাম্পত্য জীবন কাটিয়ে ফেলা ৪৬ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভুত নিকি বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে সফল মহিলাদের চরিত্র হনন করার জন্য এটাই চেনা ছক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে মার্কিন সাংবাদিক মাইকেল উলফ তাঁর লেখা বই "ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি" প্রকাশ করেন। এরপরই একটি টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় মহিলা সদস্যের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক' নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন উলফ। "ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি"র লেখক বলেন, এ বিষয়ে তিনি 'সুনিশ্চিত'। এরপর থেকেই দুই সন্তানের জননী নিকি হ্যালে ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে 'রসালো' গল্প ছড়াতে শুরু করে। সেই প্রসঙ্গেই এদিন 'পলিটিকো'-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে পাল্টা মুখ খোলেন স্বয়ং নিকি হ্যালে।


আরও পড়ুন- নরেন্দ্র মোদীকে অনুকরণ করলেন ট্রাম্প


সাক্ষাত্কারের শুরুতেই মাইকেল উলফের দাবিকে 'অসত্য' বলে খারিজ করে দেন হ্যালে। এরপরই তিনি জানান, এই ধরনের মন্তব্য 'অত্যন্ত আপত্তিকর এবং বিরক্তিজনক'। উলফ যেসব অভিযোগ তুলেছিলেন, এদিন 'পলিটিকো'-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সেগুলি এক এক করে খারিজ করেছেন সাউথ ক্যারোলিনার প্রাক্তন গভর্নর নিকি। এবার এক ঝলকে দেখে নিন, নিকির প্রতিক্রিয়া-


বিষয়- একান্তে আলাপচারিতা
গোড়ায় গলদ রয়েছে উলফের। উনি বলেছেন, "এয়ারফোর্স ওয়ানে প্রেসিডেন্ট আমার সঙ্গে একান্তে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে থাকেন"।


কিন্তু হ্যালের কথায়, "আমি কেবল এক বারই এয়ারফোর্স ওয়ানে সওয়ার হয়েছি এবং সে সময় ওই বিমানে আরও অনেকেই ছিলেন"।    


বিষয়- রাজনৈতিক উচ্চাশা নিয়ে আলোচনা
উনি (মাইকেল উলফ) দাবি করেছেন, "আমি আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করি।"


হ্যালের জবাব, " কখনও এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়নি এবং আমরা একান্তে সময়ও কাটাইনি"।


উল্লেখ্য, মার্কিন রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলেই ভবিষ্যতের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে নিকি হ্যালের নাম শোনা যায়। যদিও, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর হ্যালে জানিয়েছিলেন, তিনি ট্রাম্পের ভক্ত নন। কিন্তু তিনি যে ট্রাম্পকেই ভোট দিয়েছিলেন, সে কথাও স্পষ্ট করেছিলেন। এরপর গত ডিসেম্বরে যখন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে একাধিক মহিলা মুখ খুলেছিলেন, সে সময়ও হ্যালেকে বলতে শোনা যায়, ওই মহিলাদের কথা শোনা উচিত। পর্নোগ্রাফির পর্দায় ঝড় তোলা স্টেপনি ক্লিফোর্ড (ওরফে স্টর্মি ড্যানিয়েল) সম্প্রতি জানিয়েছেন, মেলানিয়া ট্রাম্পকে বিয়ে করার পরও ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। যদিও ট্রাম্পের আইনজীবী এই দাবিকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।


আরও পড়ুন- সুবর্ণ সুযোগ, ট্রাম্পকে সোনার শৌচালয় দিতে চাইল জাদুঘর


'ক্যাসিনো কিং' ট্রাম্পকে ঘিরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় থেকেই একাধিক যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ সামনে এসেছে। ট্রাম্পের বিভিন্ন মন্তব্যও অনেক সময় বিভিন্ন জল্পনাকে উস্কে দিয়েছে। কিন্তু, নিকি হ্যালের মতো মার্কিন প্রশাসনের একেবারে শীর্ষ স্তরের মহিলা আধিকারিককে নিয়ে এমন মন্তব্য নজির বিহীন। পাশাপাশি একজন পরিচিত সাংবাদিকের মুখ থেকে এমন মন্তব্য শোনা গেছে বলেও জল্পনা গুজব হতে বেশি সময় নেয়নি। ফলে, এক্ষেত্রে নিকি হ্যালের প্রতিক্রিয়া আবশ্যিক ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এ ধরনের গুজব ওভাল অফিসের পরিবেশকে কতটা সহজ থাকতে দেবে সে বিষয়ে সন্দিহান ওয়াকিবহাল মহল।