নিজস্ব প্রতিবেদন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে ‘অঘটন’ ঘটাবেনই, আগেই তা আন্দাজ করেছিলেন তাঁর পার্ষদরা। সাক্ষাতের আগেই রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকের আলোচ্য ‘ফাঁস’ না হওয়ার সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্টকে  মোকাবিলা করতে খসড়া তৈরি করে দিয়েছিলেন পোড় খাওয়া মার্কিন আমলারাও। তবে, সেই খসড়া মোতাবেক তো প্রেসিডেন্ট হাঁটলেনই না, উল্টে নিজের দেশকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- পাক নির্বাচনের মুখে বিপাকে হাফিজ সইদ, মিলি মুসলিম লিগকে 'বয়কট' ফেসবুকের


রুশ-মার্কিন বৈঠকে কোনও ইস্যু নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হবে না, আগেই জানানো হয়েছিল হোয়াইট হাউজের তরফে। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ যোগ, পরমাণু অস্ত্র, সিরিয়া ইস্যু-সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাম্প হাঁটলেন উলটো পথে। ট্রাম্পকে ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে ক্রেমলিনের ‘নাক গলানোর’ অভিযোগকে কার্যত খারিজ করে সরাসরি দোষ চাপান নিজের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর বিরুদ্ধে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই অভিযোগ অস্বীকার করলে তা সমর্থন করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বোকা বনেছে। আমরা সবাই বোকা বনেছি। আমি ক্ষমতায় আসার আগেই এই কীর্তি ঘটেছিল।”


আরও পড়ুন- মুখোমুখি হচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন, তাকিয়ে গোটা বিশ্ব


জানা যাচ্ছে, পুতিনকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করার জন্য প্রায় একশো পাতার একটি খসড়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে রাখা হয় এবং তাঁকে বারংবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রুশ যোগের বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। আমলাদের তৈরি করে দেওয়া নথি অনুযায়ী পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতে ট্রাম্প রুশ যোগের বিষয়টি উত্থাপনও করেছিলেন। কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত এক মার্কিন কর্তার কথায়, ট্রাম্প একথা বলতেই পুতিন সটান জানিয়ে দেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসুক তা তিনি চেয়েছিলেন। কারণ তিনি মনে করেছিলেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে রুশ-মার্কিন সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। তবে সে জন্য নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর কোনও প্রশ্নই নেই, বলে সাফ জানিয়ে দেন পুতিনও। এরপর ট্রাম্প দাবি করেন, ভাল প্রচারে জয় এসেছে। মার্কিন তথ্য চুরি যদি সত্যিই হয়, তা হলে তা অনেক আগেই হয়েছে। তবে, এই ইস্যু নিয়ে বহুদূর জল গড়ানোয় নিজের দেশের পাশাপাশি রাশিয়াকেও দায়ী করেছেন ট্রাম্প।


সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ উত্খাতে দুই রাষ্ট্রপ্রধানই সহমত পোষণ করেছেন। ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শও দিয়েছেন পুতিনকে। তবে, এফবিআই নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যে শুধু ডেমোক্র্যাটরাই ক্ষুদ্ধ নয়, সুর চড়িয়েছেন রিপাবলিকানরাও।


আরও পড়ুন- ‘ওড়ার স্বাদ নিতেই’ জলপ্রপাতে ঝাঁপ ব্রিটিশ পর্যটকের!


অনেকেই কটাক্ষ করে বলছেন, ক্রেমলিনই তো ট্রাম্পকে সুবিধা করে দিয়েছে, ফলে সেখানে তাঁর সমালোচনা করার মুখ কোথায়? রিপাবলিকান হাউজের প্রাক্তন স্পিকার নিউট গিংরিচ জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এবং পুতিন সম্পর্কে ট্রাম্পের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এরপরই সমঝে দেওয়ার সুরে তিনি বলেন, বড় ভুল করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে শুধরে নেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।