নিজস্ব প্রতিবেদন: নজিরবিহীন টুইট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসডিন্টের এ হেন টুইট এ যাবত্কালে ‘সেরা হুঁশিয়ারি’ টুইটের মধ্যে অন্যতম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর কোনও রাখঢাক নেই, খুল্লামখুল্লা ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানকে। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভয় দেখালে ইরানকে আরও খারাপ ফল ভোগ করতে হবে। ইরান যে মৃত্যু এবং হিংসা নিয়ে খেলা করছে তা আর মেনে নেবে না আমেরিকা। বলা যায়, কার্যত চূড়ান্ত হুঁশিয়ারিও দিয়ে দিলেন সোমবারের করা টুইটে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- নির্বাচনের মুখে তোলপাড় পাক সেনা সদর, উঠল ‘আইএসআই মুর্দাবাদ’ স্লোগান


ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের উপর যে কতটা ক্ষুব্ধ তাঁর টুইটের লেখা দেখেই বোঝা যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ দিন টুইটের প্রত্যেকটি অক্ষর বড় হাতে লিখেছেন তিনি। যা ভীষণ ইঙ্গিতবহ। ট্রাম্পের এই টুইটের আগে পম্পেও রৌহানি সরকারকে একহাত নেন। ক্যালিফোর্নিয়ার এক সম্মেলনে পম্পেও জানান, ইরানের জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘোষণা করলে তবেই নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি, সুশাসন এবং স্বাধীনতা ফিরে আসবে। তাঁর আরও অভিযোগ রৌহানি সরকার মাফিয়াদের মতো শাসন চালাচ্ছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানিও পালটা জবাবে বলেন, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধালে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ হবে আর শান্তি চাইলে এটাই হবে সবচেয়ে বড় মৈত্রী স্থাপন, আমেরিকার এটা অবশ্যই মনে রাখা উচিত।


আরও পড়ুন- গুরুতর কিডনি সমস্যায় ভুগছেন নওয়াজ়, হৃদস্পন্দনও অস্বাভাবিক জানাচ্ছেন চিকিত্সকরা


২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তি বিষয়ে বরাবর সমালোচনা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার পর গত মে মাসে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার করা পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে ট্রাম্প সরকার। এরপর


ইরানের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে রাষ্ট্রসংঘের পাঁচ শক্তিধর রাষ্ট্রের সহমতিতে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিতে ঠিক ইউরেনিয়ামের উত্পাদন নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিবর্তে পরমাণু সংক্রান্ত আর্থিক সাহায্য পাবে ইরান।



আরও পড়ুন- পরিবারের ১০ জন খুন, এরপরও ওয়াজির স্পর্ধা দেখাচ্ছেন ভোটে লড়ার


সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইরানের বিরুদ্ধে আগামী দিনে আরও কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে আমেরিকা। ইতিমধ্যে তাদের ‘মিত্ররাষ্ট্র’গুলিকে হুঁশিয়ারি সুরে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে সমস্ত রকমের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে আগামী নভেম্বরে মধ্যে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির পর থেকে তেল রফতানি অনেকটাই কমেছে ইরানের। এমনকি অন্যান্য দেশের পাশাপাশি তেল আমদানি কমানোয় ইরানের হুঁশিয়ারি মুখে পড়তে হয়েছে ভারতকেও।