নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা সংক্রমণকে কেন্দ্র করে বারবারই জোরালো হয়েছে চিন ও আমেরিকার কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব। করোনা সংক্রমণের দায় কার? এই নিয়ে একে অপরকে দুষেছে চিন ও আমেরিকা। তবে এবার যেন সম্প্রীতির সুর! বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ রুখতে শি জিনপিং-এর সাথে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড। দাবি করলেন, চিনের সঙ্গে আমেরিকার নাকি 'ভালো সম্পর্ক'! সাংবাদিক সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান,"চিনের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। শুক্রবার ৯ টায় আমি চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং-এর সাথে কথা বলব।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিন-আমেরিকা তরজার সূত্রপাত বহুদিন আগে। বিশ্বে বাণিজ্যে কার আধিপত্য থাকবে? এই নিয়ে আগে থেকেই সংঘাতে ছিল চিন ও আমেরিকা। করোনা সংক্রমণের উৎস নিয়েও একে অপরকে তোপ দাগতে ছাড়েনি দুই শক্তিশালী দেশ। উহান প্রদেশ ভাইরাসের কেন্দ্র হওয়ায় চিনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শি জিনপিং সরকারের দায়িত্বহীন বলেও উল্লেখ করেছিল হোয়াইট হাউস। 


পাল্টা তোপ দাগতে ছাড়েনি বেজিংও। নিজের ঘর সামলাক আমেরিকা, বিশ্ব যখন করোনায় আতঙ্কগ্রস্ত, এ সময় প্রমাণ ছাড়া দোষারোপ করা অনুচিত। এমনই অগ্নিবাণ ছুড়েছিল চিনের বিদেশমন্ত্রক। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিজিয়ান ঝাও বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন, আমেরিকা-ই এই ভাইরাসের জন্ম দিয়েছে। তাদের সেনা করোনা ভাইরাস নিয়ে এসেছে উহানে। সব মিলিয়ে বাক্য়বাণে একে অপরকে  বিধ্বস্ত করেছিল দুই দেশ।


এরপরই ট্রাম্প আবার করোনাকে "চিনা ভাইরাস" বলে কটাক্ষ করেন। এপ্রসঙ্গে কিছুটা কটাক্ষের সুরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন,"যদি চিন সত্যিই ভাবে যে করোনার উৎস চিন নয়, আমরা যত্ন সহকারে পর্যালোচনা করব।" কিন্তু এবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের গলায় যেন সম্প্রীতির সুর। যদিও পাশাপাশি তোপ দাগতেও ভোলেননি ট্রাম্প।


তিনি বলেন, জিনপিং হয়তো আগত নির্বাচনে ট্রাম্পের হার দেখতে চান, কিন্তু সেটা হওয়ার নয়। প্রেসিডেন্ট এও বলেন, তাঁর বিরোধী দলনেতা জো বিডেন হল চিনের সেরা স্বপ্ন। সব মিলিয়ে সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণকে কেন্দ্র করে ঠিক যেন তিকিতাকা খেলছে দুই দেশ।


আরও পড়ুন, লকডাউনে বাড়ি ফেরার জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত! দুটি ট্রাকে চেপে বসলেন ৩০০ জন