নিজস্ব প্রতিবেদন : ফেসবুকের পর এবার টুইটার। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল টুইটার। জানা যাচ্ছে, পাকাপাকিভাবে বন্ধ করা হয়েছে অ্যাকাউন্ট! কিন্তু কেন বন্ধ করা হল অ্যাকাউন্ট? টুইটার কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্রাম্পের টুইট ভবিষ্যতে ফের হিংসার জন্ম দিতে পারে। তাই এই আশঙ্কা থেকেই তাঁর অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করা হয়েছে। এই মর্মে বিবৃতিও জারি করেছে টুইটার (Twitter)। অন্যদিকে পাল্টা বিবৃতি জারি করে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, চুপ করে বসে থাকবেন না তাঁরাও!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, বুধবার ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালায় ট্রাম্প সমর্থনকারীরা। হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভ ও সেনেটের বৈঠক যখন চলছিল, তখনই এই হামলা চালানো হয়। ট্রাম্প সমর্থকরা জোর করে ভিতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। পুলিস বাধ্য হয় গুলি চালাতে। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। সংঘর্ষে ৪ প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এখন ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার ঘটনায় অভিযোগ ওঠে যে, তার আগে টুইটারে নানা উস্কানিমূলক পোস্ট করা হয়েছিল। আর এঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।


আরও পড়ুন, Trump-র প্রতি অবিচার হয়েছে, দাবি ক্যাপিটলের বিক্ষোভে তেরঙ্গাবাহী ভারতীয় বংশোদ্ভূতের


এরপরই সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট। পরে আবার খুলে দেওয়া হলেও, শেষমেশ অবশ্য পাকাপাকিভাবে অ্যাকাউন্ট বন্ধের পথেই হাঁটল টুইটার কর্তৃপক্ষ। এদিকে তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, তাঁর মুখ বন্ধ করার জন্যই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে টুইটার। একইসঙ্গে পাল্টা হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। পাল্টা বিবৃতি জারি করে ট্রাম্প জানিয়েছেন, "এমনটা যে হবে আমি জানতাম! আমরা অন্য সাইটের সঙ্গে কথা বলছি। খুব শিগগিরই একটা বড় ঘোষণা করব। পাশাপাশি অদূর ভবিষ্যতে আমরা নিজস্ব প্ল্যাটফর্মও খুলতে পারি। আমরা চুপ করে বসে থাকব না।" 


 


আরও পড়ুন, বাধ্য হয়ে ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি ট্রাম্প, Joe Biden-এর জয়ে সিলমোহর মার্কিন কংগ্রেসের