নিজস্ব প্রতিবেদন: সন্দেহের তির ইরানের দিকে হলেও  তেলবাহী জাহাজ হামলায় সরাসরি মুখ খোলেনি সৌদি আরব। এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ইরানের ‘বন্ধু দেশ’ ইয়েমেনের বিচ্ছিনতাবাদী সংগঠন হুথি। রবিবার ড্রোন হামলা চালানো হয় পারস্য উপসাগরের চারটি তেলবাহী জাহাজের মধ্যে দুটির উপরে। এক বিবৃতি প্রকাশ করে সৌদি আরাব জানায়, এই হামলা শুধু তাদের দেশের উপর হয়নি, গোটা বিশ্বের উপর হামলা করা হল। সলমন প্রশাসনের যুক্তি, তেলের উপর হামলা চালিয়ে বিশ্বকেই বিপদে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


যদিও ড্রোনকে নামাতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি সৌদি আরবের। উল্লেখ্য, বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুথি দাবি করে, সৌদি আরব এবং তার বন্ধু দেশগুলির প্ররোচনায় ইয়েমেনে অপরাধ বেড়েছে। সে দেশের সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গত চার বছর ধরে অপরাধে মদত দিয়েছে সৌদি আরব।  


বিশ্বের অন্যতম তেল রপ্তানিকারী দেশের উপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে সৌদি আরব। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ঘটনায় ইরানকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে সৌদি আরব। কয়েক দিন আগে ইরান হুমকি দিয়েছিল, হুরমুজ প্রণালী দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। ওই প্রণালী দিয়ে সৌদি আরবের সমস্ত তেল সরবরাহ হয় এশিয়া-ইউরোপের একাধিক দেশে। বিশেজ্ঞদের একাংশের দাবি, এই ব্যবস্থায় আঘাত হানতে চাইছে ইরান।


আরও পড়ুন- প্রাক্তন মহিলা সাংবাদিককে গুলি করে খুন আফগানিস্তানে


উল্লেখ্য, গত বছর ইরানের উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপায় আমেরিকা। স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত-সহ অন্যান্য বন্ধু দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি দেন, ইরানের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। ইরান থেকে তেল রফতানি শূন্যে আনতে হবে। ইতিমধ্যেই সেই পথে হেঁটেছে বেশ কয়েকটি দেশও। তেল রফতানিতে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান। অভিযোগ, যার কারণেই পালটা কূটনৈতিক চালে আরব দেশগুলি থেকে রফতানি আটকাতে চাইছে ইরান। যাতে পরোক্ষভাবে ধাক্কা খেতে পারে আমেরিকা-ও। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই তেলের জাহাজে হামলা হতে পারে বলে উপসাগরীয় দেশগুলিকে সতর্ক করে মার্কিন গোয়েন্দারা।