It’s finished! স্বেচ্ছামৃত্যুর আগে ইনস্টাগ্রামে লিখলেন ধর্ষিতা তরুণী
রবিবার তাঁর বাড়িতেই নোয়ার স্বেচ্ছামৃত্যুর নির্দেশ কার্যকর হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মর্মান্তিক! ১৭ বছরের কিশোরী নোয়া পথোভেনের পরিণতির ব্যাখ্যা বোধহয় এই একটি শব্দেও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কারণ, ধর্ষণের যন্ত্রণা তাঁকে ঠেলে দিয়েছিল মানিসক অবসাদের চক্রব্যূহে। সেই চক্রব্যূহ থেকে তাঁকে মুক্তি স্বেচ্ছামৃত্যু। মৃত্যুর ঠিক একদিন আগে সেই চরম পরিণতির কথা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিয়ে গিয়েছেন নোয়া।
নোয়া নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। বাড়ি ওই দেশের আরহেম শহরের বাসিন্দা নোয়া। রবিবার তাঁর বাড়িতেই নোয়ার স্বেচ্ছামৃত্যুর নির্দেশ কার্যকর হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: প্রোটোকল ভেঙে রানির পিঠ স্পর্শ মার্কিন প্রেসিডেন্টের
স্বেচ্ছামৃত্যু বা ইউথেনেশিয়া। গোটা বিশ্বে এই প্রক্রিয়ায় আত্মহত্যার অনুমতি দেওয়া হয়। সাধারণত কোনও রোগ বা অন্য কারণে যন্ত্রণা যাঁরা সহ্য করতে পারেন না, তাদের স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হয়। নেদারল্যান্ডসে-সহ কয়েকটি দেশে স্বেচ্ছামৃত্যু আইনত স্বীকৃতি। ২০০১ সালে আইন সংশোধন করে স্বেচ্ছামৃত্যুকে আইনি স্বীকৃতি দেয় নেদারল্যান্ডস। তার পর থেকে অনেককেই ডাচ প্রশাসন স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিয়েছে।
ধর্ষণের পর মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন নোয়া। সেই যন্ত্রণায় তাঁর বেঁচে থাকার ইচ্ছেই চলে গিয়েছিল। সেই কারণেই তার তরফে ডাচ প্রশাসনের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর তাই নিজের ব্লগে, তার লড়াইয়ে পাশে থাকার জন্য নোয়া পরিবার ও পাঠকদের ধন্যবাদ দিয়েছে। তার পোস্টে নোয়া লিখেছে, বছরের পর বছরের লড়াই এবার শেষ হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্থানে মার্কিন বোমাবর্ষণে হত আইএস-এর কেরল মডিউলের মাথা রশিদ আবদুল্লাহ
যদিও মানসিক যন্ত্রণার লড়াইয়ের মাঝেই নোয়া নিজের আত্মজীবনীও লিখে ফেলেছেন। নাম ‘উইনিং অ্যান্ড লার্নিং’। ওই আত্মজীবনী লিখে তিনি পুরস্কৃত হয়েছে নোয়া। তার জন্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েক মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে নোয়ার। যাদের উদ্দেশ্যে সে শেষবারের জন্য লিখে গিয়েছে, ‘ইটস ফিনিশড’।