জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হাই-অলটিটিউড গ্লেসিয়ার থেকে রাতের দিকে একটা ভয়ংকর শব্দ শোনা যায়। এ অভিজ্ঞতা অনেকেরই। এই অভিজ্ঞতা খুব স্পষ্ট করে হয়েছে এভারেস্ট অঞ্চলেও। হয়েছে বহুজনের। সাধারণ পর্যটক থেকে নামী এক্সপিডিশন লিডারের, শেরপা থেকে গ্লেসিওলজিস্টদের। বিজ্ঞানী রহস্যের পিছনে যুক্তি খোঁজেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ তো রহস্যই ভালোবাসেন। তাঁরা বিশ্বাস ও ভয় মিশিয়ে কখনও কোনও দেবতার কথা পর্যন্ত কল্পনা করেন, কেউ কেউ কয়েক ধাপ নেমে ভাবেন এ হয়তো তুষারমানবের চিৎকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: New Jersey: মহাকাশ থেকে বাড়ির ছাদ ভেঙে ঘরে এসে পড়ল এ কী রহস্যময় বস্তু!


মাউন্ট এভারেস্ট থেকেও সূর্যাস্তের পরে ভয়ংকর শব্দ শোনা যায়। এক অভিযাত্রী ডেভ হ্যান বহুবার এভারেস্ট শৃঙ্গে অভিযান করেছেন। তিনিও পার্বত্য উপত্যকার চারপাশে বিভিন্ন স্থানে নানা রকম শব্দের কথা শুনেছেন। তাঁর নিজের অভিজ্ঞতাতেও রয়েছে এর কিছু কিছু। এদিকে হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কটিক রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী ইভজেনি পোডলস্কির কানেও এ খবর এসেছিল। ইভজেনি পোডলস্কি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন-- এ (এভারেস্ট) এমন এক অঞ্চল যেখানে মানুষ আশ্চর্যজনক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতেই পারে। রাতে তাপমাত্রা সেখানে প্রায় -১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে! ভয়ংকর প্রাকৃতিক পরিবেশ। এই পরিবেশে যা কিছুই ঘটুক, তা আনক্যানি লাগতে বাধ্য।


আরও পড়ুন: Reckoning with the Past: ব্রিটেন থেকে তাহলে এবার সত্যিই ফিরছে কোহিনুর?


কিন্তু এটুকু বলেই থেমে যাননি ইভজেনি পোডলস্কি। তাঁর নেতৃত্বে পরে একদল গবেষক হিমালয়ের ওই বিশাল উচ্চতায় গবেষণায় নামেন। গবেষকরা নেপালের হিমালয়ে এক সপ্তাহের বেশি ট্রেকিং করে সেখানে ট্র্যাকার্ডিং-ট্রামবাউ হিমবাহ সিস্টেমে সিসমিক কার্যকলাপ পরীক্ষা করেছিলেন। তাঁরা মাউন্ট এভারেস্টে তিন সপ্তাহ কাটিয়েছিলেন। হিমবাহের গভীরের কম্পন পরিমাপ করার জন্য বরফের উপর সেন্সর টুল স্থাপন করেছিলেন। ঠিক যে প্রযুক্তি ভূমিকম্পের মাত্রা পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়। শেষে তাঁরা ওই শব্দ-রহস্যের কিনারা করতে সক্ষম হন। কী সেই রহস্য? 


বিজ্ঞানীদলটি ওই সিসমোগ্রাফিক ডেটা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে, হিমালয়ের রাতের ওই শব্দগুলির কারণ কোনও অতিপ্রাকৃত প্রাণী নয়, কোনও তুষারমানব নয়, কোনও দেবতাও নন। শব্দ-রহস্যের পিছনে রয়েছে চরম ঠান্ডা। তাঁরা দেখেছিলেন, অন্ধকারের পরে তাপমাত্রার তীব্র পতন ঘটে ওখানে। তখন ঝপ করে নেমে যাওয়া ঠান্ডার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে না ওই এলাকার প্রকৃতিও। তখন হিমবাহের বরফ ফেটে যেতে থাকে। তারই শব্দ বিকট আকারে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আর যাঁদের কানে তা পৌঁছয়, তা ভয়ংকর লাগে, আতঙ্কের লাগে, বুক-কাঁপানো কোনও জন্তুর বলে মনে হয়!  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)