নিজস্ব প্রতিনিধি : অনেকেই করে থাকেন এমন জঘন্য কাজ। তার পরও রেহাই পেয়ে যান। আসলে এদেশে পশু-পাখিদের উত্ত্যক্ত করলে শাস্তির তেমন কোনও নিয়ম নেই। তাই চিড়িয়াখানায় গিয়ে অনেকেই এমন কাজ করেন। কখনও কখনও ধরা পড়ার পর সামান্য শাস্তির বদলেই জুটে যায় রেহাই। কিন্তু ২৫ বছরের বাসমা আহমেদ হয়তো স্বপ্নেও এমন শাস্তির কথা ভাবতে পারেননি। তিনি অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁকে লঘু পাপে গুরু দণ্ড দেওয়া হয়েছে! তাঁর কোনও দাবিই অবশ্য ধোপে টিকল না। এক বাঁদরের শ্লীলতাহানির জন্য তাঁকে এবার তিন বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  গিজ়া পিরামিডের কাছে পর্যটকদের বাসে বিস্ফোরণ, মৃত ৪


মিশরের উত্তরাংশে ডেল্টা শহরের এক দোকানে রাখা ছিল একটি বাঁদর। দোকানটি পশু-পাখির বিক্রয়কেন্দ্র। সেখানে সেই বাঁদরের সঙ্গে খুনসুঁটি শুরু করেন বাসমা। তিনি সেই বাঁদরের সঙ্গে মজা করতে শুরু করেন। প্রথমে মুখে বিভিন্ন আওয়াজ করে সেই বাঁদরকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। এর পর বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিও করেন। একটা সময় শালীনতার পরিধি ছাপিয়ে যান সেই তরুণী। বাঁদরের যৌনাঙ্গে হাত দিয়ে মশকরা করতে শুরু করেন। গোটা ঘটনাটা বাসমা নিজের মোবাইলে তুলে রাখেন। এবং সেই ভিডিও তিনি তুলে দেন সোশ্যাল সাইটে। মুহূর্তে ভাইরাল হয় সেই ভিডিও। একের পর এক পশুপ্রেমী তাঁর এমন কাজের তীব্র নিন্দা করেন। মিশরের সংবাদমাধ্যমের একাংশ এই ঘটনা ফলাও করে প্রচার করে। যার জেরে বাসমার এমন কাণ্ড আরও বেশি ভাইরাল হয়ে পড়ে। শেষমেশ সেই ভিডিও প্রশাসনের নজরে আসে। 


আরও পড়ুন-  ফিলিপিন্সে ভয়াবহ ভূমিকম্প, রিখটার স্কেলে তীব্রতা ৭.২


৯০ সেকেন্ডের ভিডিও। তার জেরে শেষমেশ গ্রেফতার হন বাসমা। অক্টোবরে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয় তাঁকে। শেষমেশ মিশরের মনসুরা প্রদেশের একটা আদালত তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি দেয়। যা শুনে রীতিমতো হতবাক বাসমা। তিনি অবশ্য আদালতের সামনে নিজের দোষ কবুল করেন। সঙ্গে এটাও বলেন, নেহাতই মজার ছলে তিনি এমনটা করেছেন। বাঁদরের সম্মানহানির কোনও উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আপাতত কারাগারে রয়েছেন বাসমা। বাঁদরের সঙ্গে বাঁদরামি করতে গিয়ে এ কী কাণ্ড!