ভারতও কি নিষিদ্ধ করবে ব্রিটেনের উড়ান? ব্রিটেনের নয়া স্ট্রেনের করোনাসংক্রমণে আতঙ্কে গোটা বিশ্ব
প্রশ্নচিহ্ন বরিস জনসনের ভারত-সফর নিয়ে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারত কি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে? জানুয়ারি মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কি আর আসবেন ভারত সফরে?
এই সব প্রশ্ন উঠছে, কারণ সারা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের লেটেস্ট স্ট্রেন এক ভয়াবহ মাত্রার সংক্রমণ শুরু করেছে সে দেশে। দেশের করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে স্বীকারও করেছে ব্রিটেন স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সে দেশের স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানককের মতে, দেশের করোনা পরিস্থিতি এক অবিশ্বাস্য কঠিন পর্যায়ে পৌঁছেছে!
এয়ারওয়েজ বন্ধের প্রশ্ন উঠছে কারণ, ইতিমধ্যেই এই নতুন বিপদ থেকে বাঁচতে ব্রিটেনকে 'একঘরে' করেছে তার একাধিক প্রতিবেশী। এ বার ভারত থেকেও একই দাবি উঠছে। ব্রিটেনের এই নয়া করোনাসংক্রমণের বাড়াবাড়ি নিয়ে ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জরুরি বৈঠকও ডেকেছে। আজ, সোমবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিবাল দাবি করছেন, অচিরেই ভারত-ব্রিটেন বিমান নিষিদ্ধ করা হোক।
রবিবারই ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, দক্ষিণ ইংল্যান্ডের বেশ কিছু এলাকায় করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন মিলেছে। নতুন স্ট্রেনটি আগের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যকর্তারা। পরিস্থিতির মোকাবিলায় রবিবার থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ড এবং লন্ডনে লকডাউন ঘোষণা করেন বরিস জনসন। বড়দিনের আগে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ড এবং লন্ডনে সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়ে 'টিয়ার ফোর' করা হয়েছে। যার অর্থ, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে পুরোপুরি লকডাউন।
আসন্ন বড়দিনের ছুটির আনন্দ মাটি হওয়ায় ক্ষুব্ধ সে দেশের সাধারণ মানুষ। এ দিকে লকডাউনের নিময়ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।
করোনার নয়া স্ট্রেনের খবর পেয়েই ব্রিটেনের মুখের ওপরে দ্রুত দরজা বন্ধ করে দিয়েছে বেলজিয়াম। পরিস্থিতির মোকাবিলায় সিল করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত সীমান্ত। ব্রিটেনের সমস্ত বিমান বাতিল করেছে নেদারল্যান্ডস। একই পরিকল্পনা করছে ইতালি। ইতালিও ভুগছে নতুন সংক্রমণের ঠেলায়। ব্রিটেনকে একঘরে করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে জার্মানি। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও মিলেছে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন। ফলে ব্রিটেন ছাড়াও আফ্রিকার বিমানও আপাতত বাতিল করে দিতে পারে জার্মানি। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক উড়ান ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মুখে। এখন ভারতও সে পথে হাঁটবে কিনা সময়ই তা বলবে।
জি-৭ গ্রুপের একটি জরুরি বৈঠক উপলক্ষ্যে বরিসের আগামী বছরের জানুয়ারিতেই ভারতে আসার কথা। যদি সে দেশে কড়া লকডাউন জারি হয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানও বন্ধ হয়ে যায়, তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ওই সফর নিয়েও ধোঁয়াশা রয়ে যাবে!
also read: ব্রিটেনে মিলল করোনার নতুন Strain-এর সন্ধান, কড়া সতর্কতা ইংল্যান্ডের বড় অংশে