``হিংসা, ঘৃণা বিক্রির কারবার করে ফেসবুক``, চাকরি ছাড়লেন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার
গোটা বিশ্বকে এক সূত্রে বাঁধতেই ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছিলেন তিনি। এমনই দাবি করেন মার্ক জুকারবার্গ।
নিজস্ব প্রতিবেদন- ফেসবুক কর্মচারীদের নিজস্ব নেটওয়ার্কিং সাইট প্যাসিফিক-এ তিনি ১৩০০ শব্দের ইস্তফাপত্র লিখে পোস্ট করেছেন। কেন তিনি ফেসবুকের চাকরি ছাড়ছেন সেটা স্পষ্ট করেছেন সেখানে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অশোক চান্দওয়ানে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে হিংসা আর ঘৃণার কারবার করছে ফেসবুক। এটাই এখন তাদের মূল ব্যবসা হয়েছে। আর এমন জঘন্য কাজ করা একটি সংস্থার সঙ্গে তিনি আর কোনওভাবেই জড়িত থাকতে চান না। তাই চাকরি থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি। তবে ফাঁকা দাবি তিনি করেননি। ফেসবুক যে হিংসা ছড়াচ্ছে তার প্রমাণ হিসাবে কিছু লিংক পোস্ট করেছেন তিনি।
গোটা বিশ্বকে এক সূত্রে বাঁধতেই ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছিলেন তিনি। এমনই দাবি করেন মার্ক জুকারবার্গ। কিন্তু তাঁর এই সংস্থার বিরুদ্ধে এখন হিংসা ছড়ানোর একের পর এক অভিযোগ জমা হচ্ছে। এমনকী সংস্থার ভিতরে অনেক কর্মচারী ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে এই নীতিবদলের অনুরোধ করেছেন। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ফেসবুক সংস্থার কাছে গুরুত্বপূর্ণ এক পদ। একে তো অশোক চান্দওয়ানের মতো যোগ্য কর্মীর ইস্তফা। তার উপর চাকরি ছাড়ার সময় তাঁর সংস্থার দিকে আঙুল তোলা! সব মিলিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপাতত ব্যাকফুট-এ। ফেসবুকের মুখপাত্র লিজ বুর্গোইস অবশ্য ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিটি কমিউনিটি যাতে নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকে তার জন্য ফেসবুক প্রতি বছর বিলিয়ন ডলার খরচ করে। এরই মধ্যে আমরা এমন একটি পলিসি এনেছি যাতে ফেসবুকে ঘুণা ও হিংসা ছড়ানোর মতো কোনো পোস্ট পড়লেই সেটি চিহ্নিত করা যায়! আমাদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন।
আরও পড়ুন- জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকবে মায়ের নামও, বৈপ্লবিক পরিবর্তন আফগান আইনে
২৮ বছর বয়সী অশোক চান্দওয়ানে অবশ্য দাবি করেছেন, ফেসবুকে কাজের পরিবেশ দারুণ। আর ফেসবুকের চাকরি লোভনীয়ও বটে। কিন্তু যে সংস্থা সমাজের ভাল করার বদলে নিজেদের মুনাফার দিকে ঝোঁকে তাদের সঙ্গে তিনি থাকতে চান না বলে জানিয়েছেন অশোক চান্দওয়ানে। মায়ানমারের গণহত্যা এবং কেনোশার হিংসার সময়ে মিলিশিয়া গ্রুপের কয়েকটি পোস্ট ফেসবুকের সরিয়ে নেওয়া উচিত ছিল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। ফেসবুক সেগুলো সময়মতো সরায়নি বলেই হিংসার আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন এই তরুণ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।