করোনামুক্ত ইউরোপের প্রথম দেশ, গত ২৫ দিনে কোনও নতুন আক্রান্ত নেই
তারা এই অসাধ্য সাধন করল কী করে!
নিজস্ব প্রতিবেদন— ইউরোপের প্রথম দেশ হিসাবে করোনামুক্ত বলে নিজেদের ঘোষণা করল মন্টেনিগ্রো। বিশ্বজুড়ে যেখানে রোজই করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে সেখান একটি দেশের করোনামুক্ত হওয়াটা অবশ্যই ভাল খবর। সারা বিশ্বে এখন ৬০ লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। আমেরিকা, ইতালি, ব্রিটেন, স্পেনসহ একাধিক দেশ করোনায় তাণ্ডবে জেরবার। ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। লকডাউনেও তেমন একটা সুফল মিলছে না। কী করলে এই মৃত্যুলীলা থামবে, বুঝে উঠতে পারছে না কোনও দেশ। সেখানে কয়েকটা নির্দেশ পালন করে নিজেদের করোনামুক্ত করে ফেলল মন্টেনিগ্রো।
আড্রিয়াটিক সাগরের পূর্ব উপকূলের ছোট্ট দেশ মন্টেনিগ্রো। তারা এই অসাধ্য সাধন করল কী করে! আসলে ছোট্ট দেশ বলেই তাদের অ্যাডভান্টেজ ছিল। কম জনবসতিপূর্ণ দেশ বলেই সহজ হয়েছে কাজটা। প্রায় মাস দুয়েক আগে মন্টেনিগ্রোয় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পাওয়া যায়। তার পর সেখানে মোট ৩২৪ জনের শরীরে করোনার জীবাণু ধরা পড়ে। এর পর থেকেই মন্টেনিগ্রোর প্রশাসন কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নামে। বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। মন্টেনিগ্রো সবার আগে সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা করে। আর তাই প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে দেশের সীমা সিল করে দেওয়া হয় পর্যটকদের আসা—যাওয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন— ''করোনা একেবারে স্ত্রীর মতো, নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মানিয়ে নিতে হয়''
৩০ মার্চ থেকে মন্টেনিগ্রোর প্রশাসন সেলফ আইসোলেশনে গুরুত্ব দিতে শুরু করে। এমনকী প্রতিটি নাগরিককে চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার ও স্যানিটাইজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। নাগরিকরা সেইসব নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। লকডাউন ভাঙলে মোটা টাকা জরিমানা করা হবে বলে জানায় প্রশাসন। মন্টেনিগ্রোয় এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন নজন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১৫ জন। দেশের প্রধানমন্ত্রী মার্কোভিচ সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের করোনামুক্ত বলে ঘোষণা করেছেন।