নিজস্ব প্রতিবেদন: বিয়ে সেরে ফেরার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বর-কনে-সহ একই পরিবারের ১১ জনের। গার্ড-হীন লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় হঠাত্ ট্রেন এসে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে যায় যাত্রী-বোঝাই গাড়িটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী গ্রামে। জানা গিয়েছে, সোমবার কালিয়াকান্দি পাড়ার রাজন আহমেদ (২২)-এর সঙ্গে গুচ্ছগ্রামের সুমাইয়া খাতুন (২১)-এর বিয়ে হয়। গুচ্ছগ্রামে বিয়ের পর বিকেলে বর-কনে-সহ ১৫ জনকে নিয়ে কালিয়াকান্দি পাড়ার দিকে রওনা দেয় বরপক্ষের গাড়িটি। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ পঞ্চক্রোশীর কাছে একটি লেভেল ক্রসিং-এ পৌঁছয় তাঁরা। রেল লাইন পারাপারের সময়ই রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর পদ্মা এক্সপ্রেসের সামনে পড়ে যায় গাড়িটি। সেই সময়ে ট্রেনের গতি অনেকটাই বেশি ছিল। গাড়িটিকে ধাক্কা দিয়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর ট্রেনটি থামানো সম্ভব হয়। গাড়িতে প্রচণ্ড গতিতে ছুটে আসা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে একটি ন’বছরের শিশুও রয়েছে।


ট্রেন ও গাড়ির সংঘর্ষের প্রচণ্ড শব্দে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরাই প্রাথমিক ভাবে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিস ও দমকলবাহিনী। গাড়ি কেটে উদ্ধার করা হয় ঘটনায় আহত ৪ যাত্রীকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও গার্ডের ব্যবস্থা হয়নি লেভেল ক্রসিং-এ। তবে, পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী (সংকেত ও টেলিকম) অসীম তালুকদার। তিনি বলেন, "যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটি অনুমোদিত ক্রসিং নয়। স্থানীয় লোকজন নিজেদের সুবিধার জন্য সেটি ব্যবহার করত।"


আরও পড়ুন: আকাশ পথ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল পাকিস্তান, স্বস্তির নিঃশ্বাস বিমান সংস্থাগুলির


ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। নিহত ১১ জনের পরিবারকে মঙ্গলবার জেলা পরিষদ সিরাজগঞ্জের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।