যুবতী অধস্তনের সঙ্গে প্রৌঢ় বসের উত্তাল রোম্যান্স, গেল চাকরিও...
প্রেমের জোয়ারে ভেসে যেতে যেতে চাকরি খোয়ালেন এক ব্য়ক্তি। কোম্পানি এই ব্যক্তিকে বরখাস্ত করে দিল। তাঁর অপরাধ, অফিসেরই এক জুনিয়র যুবতীর সঙ্গে প্রেমে ভেসে পড়া। তাঁদের প্রেমের বেশ কিছু ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। তা নিয়ে জোর সমালোচনা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঘটনাটি একটি ফার্মা কোম্পানির। নাম ক্রেসো ফার্মা। সেখানে তারা তাদের চেয়ারম্যান ড. জেমস ইলিংবোর্ডকে সরিয়ে দিয়েছে। জেমসের অপরাধ? তিনি উত্তাল প্রেমে মেতেছিলেন তাঁর হাঁটুর বয়সী এক তরুণী বছর তেইশের ব্রিটানি কোয়েলের সঙ্গে। তাঁদের প্রেম ও প্রেমকালীন নানা রসালাপের ভিডিয়োও প্রকাশিত হয়েছে। তা নিয়ে স্বভাবতই সাড়া পড়ে গিয়েছে। এর জেরে কোম্পনির ইমেজ নষ্ট হয়েছে এবং নিয়মিত হচ্ছে বলেই দাবি ছিল কোম্পানির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। জেমস ইলিংবোর্ড ছিলেন কোম্পানির নন-এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান। সেই পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল।
জেমস আর ব্রিটানি নিয়মিত তাঁদের নানা ভিডিয়ো আপলোড করতেন। সেই সব ভিডিয়োর বিপুল দর্শক। প্রায় দেড় কোটি মানুষ এই ভিডিয়োগুলি দেখেন। সেই সব ভিডিয়ো থেকেই সমস্যাটা ছড়ায়। তাঁদের পরিচিত বৃত্ত, তাঁদের কর্ম-পরিসরে এগুলি ছড়িয়ে গিয়েছে। আর তা নিয়ে নিজেদের অফিসেও সমস্যা হয়েছে।
এরকমই একটি ভিডিয়োতে জেমসকে ব্রিটানির দিকে ডলার ছুঁড়তে দেখা গিয়েছে। অন্য আর একটি ভিডিয়োতে ব্রিটানি ও জেমসকে তাঁদের বয়সের ব্যবধান নিয়ে আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে। সেখানে জেমসকে বেশ রোম্যান্টিক সুরে বলতে শোনা গিয়েছে-- 'বয়সের ব্যবধানটা অনেকটাই, কিন্তু আমি সব সময়েই বলি যে, ভালোবাসা হল ভালোবাসা। আর তাই আমরা পরস্পরকে ভালোবেসে ফেললাম।' আর একটি ভিডিয়োয় আরও ইন্টারেস্টিং। সেখানে জেমস ব্রিটানির সঙ্গে তাঁর প্রেমের কারণে তাঁর মেয়েরা কে কী বলেন, তা খুব রসিয়ে-রসিয়ে বলেছেন। তিনি বলছেন-- 'দুই মেয়ের আমাদের নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। এক মেয়ে বাইরে বসে। আর অন্যজন তো বলেছে তোমাকে মেরেই ফেলবে। তবে, তুমি নিশ্চয়ই খুন হওয়ার মতো অতটা খারাপ নয়।' অন্য একটি ভিডিয়োয় জেমস ব্রিটানিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, তুমি বলেছিলে তুমি ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা খরচ করবে, কিন্তু তুমি ৪ লাখ খরচ করেছ।