নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্জাব প্রদেশে নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে হামলার পরপরই ফের শিখ আক্রান্তের খবর মিলল পাকিস্তানে। সে দেশে প্রথম শিখ টেলিভিশন অ্যাঙ্কর হরমিত্ সিংয়ের ভাইকে প্রকাশ্যে খুন করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, পেশোয়ারে পরবিন্দর নামে ওই ব্যক্তিকে দিনদুপুরে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এ ঘটনায় পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইমরান সরকারকে একহাত নিয়ে পঞ্জাবে অকালি দলের নেতা মনজিন্দর সিরসা টুইট, নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করেই খুন করা হয়েছে। কারণ, শিখ এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুর উপর উদাসীন ইমরান খান।  এরপরই সিএএ সমর্থন জাহির করে ‘উই সাপোর্ট সিএএ’ হ্যাসট্যাগ জুড়ে দেন। উল্লেখ্য, পঞ্জাব প্রদেশে গুরুনানকের জন্মস্থান নানকানা সাহিবের গুরুদ্বারে তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কিছু মানুষ। ভিন ধর্মে বিয়ে হচ্ছে অভিযোগ করে ঘিরে ফেলা হয় গুরুদ্বারটি। পাথর ছোড়া হয় পুণ্যার্থীদের লক্ষ্য করে। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তে নড়েচড়ে বসে ইমরানের প্রশাসন।


আরও পড়ুন- ইরানের ‘মেরুদণ্ড’ ভাঙতে সোলেমানি হত্যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ট্রাম্প কার্ড’



পরে বিবৃতি দিয়ে ইমরান সরকার জানায়, নানকানা সাহিব গুরুদ্বার অক্ষত রয়েছে। অপবিত্র হওয়ার কোনও ঘটনা নেই। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে বাসিন্দা হরমিত্ সিং পাকিস্তানের প্রথম নিজউ অ্যাঙ্কর। তাঁর ভাইয়ের মৃত্যু হওয়ায় স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার। সম্প্রতি পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব দিতে সিএএ পাশ করিয়েছে মোদী সরকার। ৬ সংখ্যালঘুদের মধ্যে শিখ সম্প্রদায়ও রয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলিতে সংখ্যালঘুরা যে অত্যাচারিত এ কথা বারংবার দাবি করা হয়েছে বিজেপির তরফে। পরবিন্দরের হত্যা তাদের দাবিকে আরও পোক্ত করল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।