মহিলাদের ওপর সবচেয়ে বেশি আঘাত হানবে Taliban, উদ্বেগে আফগান বায়ুসেনার প্রথম মহিলা পাইলট
তালিবান শাসন নিয়ে প্রাক্তন এয়ার ফোর্স পাইলটের মুখে এবার দেশের মহিলা নাগরিকদের নিয়ে উদ্বেগের সুর শোনা গেল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আফগান বায়ুসেনা বাহিনীতে তিনিই প্রথম মহিলা যিনি পাইলটের পদ পেয়েছিলেন। তিনি নীলুফার রহমানি। তালিবান শাসন নিয়ে প্রাক্তন এয়ার ফোর্স পাইলটের মুখে এবার দেশের মহিলা নাগরিকদের নিয়ে উদ্বেগের সুর শোনা গেল। তালিবানরা যে আশ্বাস দিয়েছে তা তিনি কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে। নীলুফারের গলায় শোনা যায় যে খুব শীঘ্রই কোন কারণ ছাড়াই "কাবুল স্টেডিয়ামে মহিলাদের" অত্যাচারের ঘটনা দেখবে বিশ্ব।
তিনি বলেন, "দুর্ভাগ্যবশত, আমার পরিবার এখনও সেখানে আছে। যেহেতু আমি আফগানিস্তানে যা ঘটেছে তা শুনেছি, আমি ঘুমাতে পারছি না। আমি আমার মনকে শান্ত করতে পারছি না। আমি পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে এতটাই ভয়ে আছি। শুধু নিজের জন্য নয়। সব মহিলাদের জন্যই।" প্রসঙ্গত, ২৯ বছর বয়সি নীলুফারের পরিবারও লক্ষ্যবস্তু হয়েছে তালিবানের। কারণ তাঁদের পরিবারের দোষ নীলুফারকে পাইলট বানানো।
আরও পড়ুন, Taliban: তালিবানি 'সাহায্যে' দেশে ফিরেছেন ১৫০ ভারতীয় কূটনীতিক, দাবি রিপোর্টে
আফগান বিমান বাহিনীর এই প্রাক্তন পাইলট বলেন যে তিনি ২০১৩-তে তালিবানের থেকে মৃত্যুর হুমকিও পেয়েছিলেন। ২০১৫ সালে আফগানিস্তান ছেড়ে মার্কিন মুলুকে গিয়েছেন তিনি। সেখানে ১৮ মাসের ট্রেনিং সারেন তিনি। এরপর সেখানেই আশ্রয় নিয়ে থেকে গিয়েছেন।
ক্ষমতায় আসার পর তালিবানরা যদিও বলেছে যে ইসলাম ধর্ম মেনেই নারীর অধিকারকে সম্মান করবে তাঁরা। যদিও এই আশ্বাসকে ভুয়ো হিসেবেই ধরে নিচ্ছেন নীলুফাররা। সম্প্রতি একটি ভিডিও দেখা গিয়েছে যেখানে সাংবাদিক সম্মেলনে তালিবান সদস্যকে প্রশ্ন করা হয় যে যদি তালিবান শাসন ব্যবস্থা নারীদের অধিকারকে সম্মান করে, তবে কি নারীদের রাজনীতিবিদের স্থান দেওয়া হবে। এরপরই ছবি তুলতে বারণ করে ওই তালিবান সদস্যকে বলতে শোনা যায়, "এই প্রশ্ন অত্যন্ত হাস্যকর।"
সম্প্রতি কাবুল থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে এক মহিলার কান্নার ভিডিও ভাইরাল হয়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে মহিলা বলেন, "আমরা স্বাধীনতা চাই। ওখানে পরিস্থিতি প্রচণ্ড বিপজ্জনক। চাদারি ছাড়া মেয়েদের বাড়ির বাইরে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। মেয়েদের কোনও অধিকার আর থাকবে না।"