নিজস্ব প্রতিনিধি: আফগানিস্তানের সদ্য প্রকাশিত সরকারের শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন তালিবানের অন্যতম ভয়ঙ্কর ৪জন। প্রত্যেকেই একসময়ে আমেরিকার কুখ্যাত গুয়ান্তানামো বে কারাগারে বন্দি ছিলেন। ওবামা সরকার একটি বন্দি বিনিময় কর্মসূচিতে তাদেরকে মুক্তি দেয়।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই ৪জন কট্টরপন্থী গুয়ান্তানামো ফাইভের সদস্য ছিলেন যাদেরকে ওবামা সরকার মুক্তি দেওয়ার পরিবর্তে তালিবান সহযোগী হাক্কানি নেটওয়ার্কের কবল থেকে মুক্তি পান মার্কিন সেনা বো বার্গডাল। এই ৪জন হলেন গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল হক ওয়াসিক, সীমান্ত ও উপজাতি বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী নুরুল্লাহ নূরী, উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ ফজল এবং ভারপ্রাপ্ত তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী মোল্লা খায়রুল্লাহ খাইরখাহ। 


মোল্লা খায়রুল্লাহ খাইরখাহ  
খায়রুল্লাহর জন্ম কান্দাহারে, যেখান থেকে তালিবানে উৎপত্তি হয়। খায়রুল্লাহকে তালিবান আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বলে মনে করা হয়।  তার ধর্মীয় শিক্ষালাভ হয় পাকিস্তানে হাক্কানিয়া এবং আখোড়া খাট্টাক মাদ্রাসা থেকে। সামগ্রিক আন্দোলনে তিনি মধ্যপন্থী তালিবানদের একজন বলে মনে করা হয়। আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সাথে তার সুসম্পর্কের কথা জানা যায়। ১৯৯৬ এর তালিবান সরকারে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন তারমধ্যে অন্যতম হল অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক এবং পূর্ব হেরাট প্রদেশের গভর্নরের পদ। মার্কিন নেতৃত্বের দাবি তিনি একজন শীর্ষ কমান্ডার, চরমপন্থী এবং আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। 


আরও পড়ুন: Indonesia Prison Fire: ইন্দোনেশিয়ার সংশোধনাগারে অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে মৃত দুই বিদেশি-সহ ৪১ বন্দি


মোহাম্মদ ফজল
মোহাম্মদ ফজল কান্দাহারের পুশতু নেতা। আমেরিকার সাথে যুদ্ধে তিনি তালিবানের সামরিক কমান্ডার ছিলেন। ১৯৯৬ সালের তালিবান সরকারে তিনি অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি হেরাটের গভর্নরের দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি ২০০২ সালে আটক হন আফগান-পাক সীমান্তে। এই মুহূর্তে তিনি তালিবানের শান্তি আলোচনা কমিটির অন্যতম সদস্য।


আব্দুল হক ওয়াসিক
১৯৭৫ সালে গজনি প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন এই তালিবান নেতা। তার দাদা কারি আহমাদুল্লাহ তালিবানের গোয়েন্দা প্রধান হওয়ার পরে ওয়াসিক তার সহকারী পদে নিযুক্ত হন। ২০০২ সালে আহমাদুল্লাহর মৃত্যুর পরে ওয়াশিক তার এক অধস্তন কর্মীর প্রতারণায় ধরা পড়েন মার্কিন সৈন্যদের হাতে। হেজব-এ-ওয়াহ্দাত নেতা আব্দুল করিম খালিলির সাহায্যে আফগানিস্তানে প্রবেশ করার সময় তিনি আটক হন এবং তার স্থান হয় গুয়ান্তানামোতে।


নুরুল্লাহ নূরী
নূরীর জন্ম উরুজগান প্রদেশে। তালিবানের সাথে তার যোগ অনেক দেরিতে হলেও তার উত্থানের পথে সেটা কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। ওয়ার্ডক, লাঘমান এবং বাঘলান প্রদেশের গভর্নরের পদ সামলানোর পরে তিনি দায়িত্ব পান নর্থ জোনের। এর সঙ্গেই তিনি বলখ প্রদেশের গভর্নরের দায়িত্ব সামলেছেন। ২০০১ সালে তিনি আমেরিকার হাতে ধরা পড়েন। 


এছাড়াও বর্তমান সরকারের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী এবং হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা সিরাজুদ্দীন হাক্কানি আমেরিকার মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসবাদী। মার্কিন সরকার তার মাথার দাম নির্ধারণ করেছে ১০ মিলিয়ান মার্কিন ডলার। মার্কিন এবং নেটো বাহিনীর বিরুদ্ধে তালিবানের যুদ্ধে অন্যতম বড় নাম এই সিরাজুদ্দীন হাক্কানি। কাবুলের সেরেনা হোটেলে এক বিস্ফোরণের সাথে যুক্ত হাক্কানি যেখানে ৬জন নিহতের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন নাগরিক।    


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)