কাশ্মীর নিয়ে সংযত আচরণ করুক পাকিস্তান, ফোন করে সতর্ক ফ্রান্সের
কাশ্মীর ইস্যু ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় মেনে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই। যেখানেই পাকিস্তান দ্বারস্থ হয়েছে কার্যত শুকনো মুখে ফিরতে হয়েছে তাদের
নিজস্ব প্রতিবেদন: সমর্থন তো দূর, ফোন করে ফ্রান্স জানিয়ে দিল, কাশ্মীর ইস্যুতে সংযত আচরণ করুক পাকিস্তান। ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিকে মঙ্গলবার ফোন করেন সে দেশের ইউরোপ এবং বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রী জিন-ইভেস-লে দ্রিয়ান। কুরেশিকে তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীর সমস্যা দ্বিপাক্ষিক বিষয়। আলোচনার মাধ্যমেই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সংযত আচরণ করা উচিত পাকিস্তানের।
কাশ্মীর ইস্যু ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় মেনে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই। যেখানেই পাকিস্তান দ্বারস্থ হয়েছে কার্যত শুকনো মুখে ফিরতে হয়েছে তাদের। একমাত্র চিন ছাড়া। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। সেখানে পাঁচ স্থায়ী রাষ্ট্র-সহ ১৫ টি দেশের প্রতিনিধি বৈঠক করে। কিন্তু চূড়ান্ত প্রস্তাব ছাড়াই ওই বৈঠক শেষ হয়। এতে পাকিস্তান এবং চিন কূটনৈতিকভাবে জোর ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- সুনন্দা পুস্করের শরীরে ছিল ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাতের ১৫টি চিহ্ন, জানাল দিল্লি পুলিস
রাষ্ট্রসঙ্ঘে কোনও কাজ না হওয়ায় আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় পাকিস্তান। ইতিমধ্যে কুলভূষণ যাদব মামলায় আন্তজার্তিক আদালতে ব্যাকফুটে পাকিস্তান। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অযাচিতভাবে কাশ্মীর মধ্যস্থতা করার পরামর্শ দেয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করেন, সে সময়ই এই প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি ইমরান খানকেও ফোন করে একই প্রস্তাব দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ইমরান খানের মার্কিন সফরে কাশ্মীর মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই অযাচিত ‘নাক গলানো’ মনোভাবে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয় নয়া দিল্লি। স্পষ্টই জানিয়ে দেওয়া, কাশ্মীর ইস্যু দ্বিপাক্ষিক বিষয়। ভারত প্রথম থেকে তৃতীয় পক্ষের নাক গলানো পছন্দ করে না।