নিজস্ব প্রতিবেদন: ইসলাম নিয়ে ক্রমশ নিজেদের মনোভাব বদলাচ্ছে ফ্রান্স। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইসলাম নিয়ে যে মনোভাব পোষণ করেছেন, তা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে নানা রকম আলোচনা চলছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্যারিসের রাস্তায় একজন শিক্ষকের মাথা কেটে নেওয়ার ঘটনার পরে মুসলিমদের নিয়ে কড়া হয়েছে ফ্রান্স সরকার। প্রসঙ্গত, ফ্রান্সের জনসংখ্যার ৯ শতাংশ মুসলিম। 


এ ঘটনার ক'দিন আগেই ম্যাক্রো বলেছিলেন, ইসলাম ধর্ম একটা সঙ্কটে রয়েছে। এবং এটা এমন একটা উত্তেজনার দ্বারা জারিত যে, তা অন্যের পক্ষে ক্রমশ ধ্বংসসাধক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই সাড়া পড়ে গিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। অনেক মুসলিম দেশই ফরাসি পণ্য বয়কট করার কথা ঘোষণা করেছে। যদিও ম্যাক্রোঁ এই ধরনের বিতর্ক থেকে দূরেই থাকেন। নিরাপত্তার হুমকি এবং ধর্মনিরপেক্ষতার মধ্যে বিভেদ বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। অনেকদিন ধরে তিনি হিজাব, বুরকিনি বা স্কুলে হালাল খাবার দেওয়ার মতো বিতর্কেও মত দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন। তবে, কোনও কোনও মহল বলছে, ধর্মের সঙ্গে ফ্রান্সের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সংঘাত এতই তীব্র যে, এ নিয়ে চুপ থাকা প্রায় অসম্ভব।


এখন ফরাসি সরকার মসজিদে তালা ঝোলাচ্ছে। মুসলিম সংগঠনগুলিকে বাতিল ঘোষণা করেছে। একটি হিসাব অনুযায়ী, ১২০টি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। কট্টর ইসলামি মতবাদ প্রচারের অভিযোগে বেশ কিছু সংগঠন এবং সমিতি বাতিল করা হয়েছে। সন্ত্রাসে টাকা জোগানোর রাস্তা বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শিক্ষকদের জন্য বাড়তি সাহায্যের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পোস্ট বা ভিডিয়োর ওপর নজরদারি বাড়াতে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলির ওপরে চাপ তৈরি করা হচ্ছে।


প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর আমলে বেশ কিছু সন্ত্রাসী হামলায় ফ্রান্সে পুলিশের সদস্য-সহ কম পক্ষে ২০ জন মারা গিয়েছে। কিন্তু সরকারের কাছ থেকে এমন তৎপরতা আগে চোখে পড়েনি।


আরও পড়ুন: ও চাঁদ, বরফজলের নামবে জোয়ার! আশ্বাস বিজ্ঞানীদের