বঙ্গবন্ধুর পর আক্রান্ত বিপ্লবী বাঘাযতীন! বাংলাদেশে নিজের গ্রামেই আক্রমণের শিকার
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অন্যতম যোদ্ধা ছিলেন এই বীর বিপ্লবী। কিন্তু তিনিও নোংরামি থেকে পার পেলেন না। সম্মান তো দূরের কথা, এত বছর পর তাঁর প্রতিষ্ঠিত মূর্তিটিকেও একটি জাতি রক্ষা করতে অক্ষম।
নিজস্ব প্রতিবেদন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর এবার বিপ্লবী বাঘাযতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল বংলাদেশে। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় বাংলাদেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে কয়া মহাবিদ্যালয়ের উঠোনে প্রতিষ্ঠিত ছিল বিপ্লবী বাঘাযতীনের ভাস্কর্য। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা সেই মূর্তি ভেঙে দিয়েছে। ভাস্কর্যটির ডান গালে ও নাকের ওপর একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কী উদ্দেশ্যে এমন নিন্দনীয় ঘটনা ঘটাল দুর্বৃত্তরা, তা এখনও স্পষ্ট হচ্ছে না পুলিস-প্রশাসনের কাছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে পর্যন্ত সেই ভাস্কর্য অক্ষত ছিল বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, রাতের অন্ধকারে কোনও এক সময় সেই মূর্তি নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। বাংলাদেশের কয়া গ্রামেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিপ্লবী বাঘাযতীন। কথিত আছে, খালি হাতে বাঘ মেরছিলেন বলে তাঁর নাম হয়েছিল বাঘাযতীন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অন্যতম যোদ্ধা ছিলেন এই বীর বিপ্লবী। কিন্তু তিনিও নোংরামি থেকে পার পেলেন না। সম্মান তো দূরের কথা, এত বছর পর তাঁর প্রতিষ্ঠিত মূর্তিটিকেও একটি জাতি রক্ষা করতে অক্ষম।
আরও পড়ুন- একটি নতুন দেশ জেগে উঠল পূর্বাচলের আলোর দিকে তাকিয়ে
২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর কয়া গ্রামের মহাবিদ্যালয়র উঠোনে বাঘাযতীনের মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধার স্মৃতি অটুট রাখতেই এই মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।