নিজস্ব প্রতিবেদন: কেউ কোনও আপাতভাবে সাধারণ কাজ করছেন। হঠাত্ই ছন্দপতন। কিছুটা দায়িত্বজ্ঞানহীন ভুলের কারণেই বড় অঘটন ঘটতে চলেছে। আর তার ঠিক আগেই শুরু হয়ে গেল কফিন নিয়ে একদল স্যুটেট-বুটেড সানগ্লাস পরা ঘানাবাসীর নাচ। সঙ্গে উচ্চ বিটের ইলেকট্রনিক মিউজিক। আশা করি কী বিষয়ে বলছি তা আর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ব্যাখা করতে হবে না। ফেসবুক, টুইটার জুড়ে মিমারদের দৌলতে কফিন নিয়ে ঘানানিবাসীদের এই নাচ যথেষ্ট ভাইরাল। কিন্তু কেন এমন কফিন নিয়ে নাচ, এর পেছনে ইতিহাস বা সংস্কৃতিটা কি জানেন?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


শেষ যাত্রা হোক মনে রাখার মতো- এই নীতিতেই বিশ্বাস করেন ঘানার বাসিন্দারা। তাঁদের বিশ্বাস জীবনের শেষ দিনটি দুঃখের হলেও তা মৃত ব্যক্তির কাছে স্মরণীয় করে রাখা প্রয়োজন। শেষ দিনে তাই সবাই মিলে তাঁকে ঘিরে আনন্দ করুক। আর এই বিশ্বাস আজকের নয়। বহুযুগ ধরে ঘানার বহু স্থানের প্রাচীন সংস্কৃতির অংশ এটি। প্রিয়জনের শেষ যাত্রায় আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার। সেখানে অংশ নেন পরিবার, পরিজন ও গ্রামবাসীরা। আর তাতেই কফিন বয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে থাকেন একদল পেশাদার কফিন নাচিয়ে। পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এই নাচিয়ে কফিন বাহকরা স্যুট-বুট, সানগ্লাস পরে এসে পারফর্ম করে যান। তবে মিম ভিডিয়োতে 'অ্যাস্ট্রোনোমিয়া' নামের ইলেক্ট্রনিক মিউজিক বাজলেও ঘানাতে আসলে বাজানো হয় স্থানীয় ব্যান্ডপার্টি। মিউজিক ও গানের তালে তালে কফিন নিয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিতে নাচতে নাচতে শেষকৃত্যের জায়গা পর্যন্ত নিয়ে যান তাঁরা। শুধু তাঁরাই নাচেন না, যোগ দেন পরিজনরাও। দেখুন সংবাদ সংস্থা বিবিসি-এর ভিডিয়ো:



ঘানার এই প্রাচীন অভ্যাসই এখন মিম মেটিরিয়াল সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিজের দোষে ভুল করলেই প্রাণ সংশয় হতে পারে, এমনই বার্তা দেয় কি এই ভিডিয়ো? হাস্যরসের মধ্যেও তাই আসলে যেন সাবধানতারই কথা বলে ঘানাবাসীদের নাচেরই এই ছবি। করোনাভাইরাসে লকডাউনের সময়ে ভারতে আরও ট্রেন্ডিং টপিক এই নাচ। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাইরে বের হওয়া থেকে সাবধান করতেও মিমে ব্যবহৃত হচ্ছে এই ভিডিয়ো। 



ভারতেও বিভিন্ন সময়ে অনেক বৃদ্ধ জীবনের শেষ ইচ্ছা হিসাবে শেষযাত্রায় নাচের আয়োজনের কথা বলে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। সেই মতো শেষযাত্রায় রীতিমতো ডিজে এনে গ্রামবাসী ও পরিজনের নাচের ভিডিয়ো একাধিকবার উঠে এসেছে খবরে। তবে, ঘানায় এটি শেষকৃত্যের আগে সম্মান জানানোরই এক রীতি।


আরও পড়ুন: "হয় তো করোনার ভয়ে চলে এসেছে", গ্রেফতার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী পলাতক আসামী