নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতি গ্রহ নিয়ে মহাকাশবিজ্ঞানীদের কৌতূহলের অন্ত নেই। বিস্ময়ের শেষ নেই বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপাকে ঘিরেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন কৌতূহল, কেন বিস্ময়?


আসলে ইউরোপায় জল থাকতে পারে বলে আগে থেকেই বলে আসছেন গবেষকেরা। এখন তাঁরা আগের চেয়ে অনেক নিশ্চিত ভাবে বলছেন, বৃহস্পতিতে থাকা শৈলশিলার নীচে অগভীর ওয়াটার-পকেট রয়েছে। এবং জলের অস্তিত্বের কারণেই এখানে প্রাণ থাকতে পারে বলে আশা বিজ্ঞানীদের। ফলে ভিনগ্রহের প্রাণী খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে এ ঘটনা বিশেষ আশা বৃদ্ধি করেছে।


গবেষকেরা ব্যাখ্যা করে বলছেন, ইউরোপায় বিশাল সমুদ্র রয়েছে। এজন্য সেখানে কোনো ধরনের জীবনের রূপ খুঁজে পাওয়া যেতেই পারে। এত দিন ধারণা করা হত, জলের অস্তিত্ব রয়েছে ইউরোপার পৃষ্ঠের অনেক গভীরে, তা ২৫-৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত গভীর হতে পারে। এই জলের উপরে রয়েছে কঠিন বরফস্তর।


'নেচার কমিউনিকেশনস' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাসংক্রান্ত এই নিবন্ধ। এতে গবেষকেরা বলেছেন, আকস্মিকভাবেই তাঁরা বিষয়টি খেয়াল করেছেন। আর সেটা তাঁদের খেয়াল করিয়ে দিয়েছে গ্রিনল্যান্ড। গ্রিনল্যান্ডের বরফের স্তর নিয়ে গবেষণার সময় তাঁরা ইউরোপা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। আর তখনই তাঁরা বৈশিষ্ট্যটি লক্ষ করেন।


গবেষকেরা গ্রিনল্যান্ডের এম-আকৃতির বরফের চূড়াগুলির সঙ্গে ইউরোপার মিল খুঁজে পান। ১৯৯০ সালে নাসার গ্যালিলিও মহাকাশযান ইউরোপার ছবি তুলেছিল। কিন্তু সেখানকার এসব শৈলশিলা কীভাবে গঠিত হয়েছিল, সে সম্পর্কে খুব কমই জানা ছিল। বিজ্ঞানীরা বরফভেদকারী রাডার ব্যবহার করে দেখেন, গ্রিনল্যান্ডের শিলাগুলির ৩০ মিটার নিচে জল জমা হয় এবং তা ভেঙে যায়। এ থেকেই বরফের খাঁজ তৈরি হয়। একই বৈশিষ্ট্য ইউরোপাতেও থাকতে পারে।


নাসার পক্ষ থেকে ২০২৪ ও ২০৩০ সালে ইউরোপা ক্লিপার মিশন নামে দুটি মিশন পরিচালনা করা হবে, যাতে বিশেষ রাডারের সাহায্যে এই চাঁদের জল ও সমুদ্রের অনুসন্ধান করা হবে।


আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কি সমাপ্তির পথে? আদৌ কি হচ্ছে শান্তি আলোচনা?


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)