ব্যুরো: কয়েক হাজার হেক্টর জঙ্গল কেটে সাফ করে দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের নিয়েই জঙ্গলের জমিতে শুরু হয়েছিল গো-পালন। কিন্তু সেখানে সরকারি আধিকারিকরা পৌছে দেখছেন, এয়ার স্ট্রিপ তৈরি হয়ে গিয়েছে। খোঁজ খবর নিয়ে দেখা গিয়েছে, এর পিছনে মাদক পাচারের জমজমাট কারবার। ঘটনা গুয়েতামালার। 


মার্গারেট থ্যাচারের পর ব্রিটেনের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী থেরিজা মে



মায়ান জঙ্গলে এপারে গুয়েতামালা। ওপারে মেক্সিকো। দক্ষিণ থেকে উত্তর আমেরিকায় অনায়াসেই চলে যাওয়া যায় এই জঙ্গলের পথে। এতোদিন এই জঙ্গলই ছিল ড্রাগ ব্যবসার করিডর। কিন্তু প্রশাসনের উদ্যোগে সেই কারবারের রমরমা কিছুটা কমে আসে। এরপরই নতুন ফন্দি এঁটে ফেলে ড্রাগ পাচারকারীরা। জঙ্গলের আশপাশের গ্রামগুলির মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গল সাফ করার কাজে নামে তারা। গ্রামবাসীদের বোঝানো হয়, সরকারি জঙ্গলের দখল নিয়ে সেখানে গো-পালন হতে পারে আয়ের অন্যতম প্রধান উত্স। এরপরই হেক্টরের পর হেক্টর জঙ্গলের গাছ কেটে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে একের পর এক ফার্ম। পরিদর্শনে গিয়ে গুয়েতামালা প্রশাসনের প্রথম সন্দেহ হয়, এই গো-পালনের আড়ালে আসলে মাদক কারবার চলছে না তো? সন্দেহটাই সত্যি হয়। জঙ্গলের মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে বিমান ওঠা নামার জায়গা। অর্থাত্‍ জঙ্গলের পথে পায়ে হেঁটে নয়, উড়োজাহাজেই গুয়েতামালা থেকে মেক্সিকোয় পাচার হয়ে যাচ্ছে মাদক। এয়ার স্ট্রিপগুলিকে আপাতত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মাদক পাচার চক্র রুখতে আন্তর্জাতিক সাহায্য চেয়েছে দক্ষিণ আমেরিকায় এই ছোট দেশ। সে জন্য পিটেনের কাছে জঙ্গলে তিরিশ দিনের এমারজেন্সিও জারি করে গুয়েতামালা সরকার। কিন্তু তা পরবর্তীতে খারিজ হয়ে যায় গুয়েতামালা কংগ্রেসে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে এখন মাদক পাচারের এই অসাধু কারবার কীভাবে রোখা সম্ভব, তাই খতিয়ে দেখছে গুয়েতামালা সরকার।