নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের তালিকায় নেই মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া ও ফালাহ-ই-ইনশানিয়ত। গত ৫ সেপ্টেম্বর পাক সরকার জঙ্গি সংঠনগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানে রয়েছে দেশের ৬৬টি সংগঠন। কিন্তু নেই সইদের ওই দুই সংগঠন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বিশাল সেনাবাহিনীই যথেষ্ট নয়, দেশরক্ষায় উন্নত প্রযুক্তিই এখন হাতিয়ার, সতর্ক করলেন দোভাল


উল্লেখ্য, এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি একটি অর্ডিন্যান্স জারি করে দেশের জঙ্গিদমন আইন সংশোধন করেন। তার পরেই সইদের জেডিইউ ও ফিফকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রসংঘের জঙ্গি সংগঠনগুলির তালিকায় ছিল সইদের ওই দুই সংগঠন। সইদ নিজেও রয়েছে ওয়ান্টেড জঙ্গির তালিকায়।


জঙ্গি সংগঠনের তালিকায় তাঁর দুই সংস্থাকে রাখায় আদালতে মামলা করেন সইদ। তার আইনজীবী ইসালামাবাদ হাইকোর্টে বৃহস্পতিবার এক আবেদনে বলেন, পাক রাষ্ট্রপতির অর্ডিন্যান্সের মেয়াদ শেষ হয় গিয়েছে। ফলে সইদের ওই দুই প্রতিষ্টানকে জঙ্গি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হোক।


আরও পড়ুন-ফের ডানা ছাঁটা হল শোভনের, বড় দায়িত্ব পেলেন ববি


হাফিজ সইদের আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, জামাত-উদ-দাওয়া প্রতিষ্টা হয় ২০০২ সালে। এর সঙ্গে লস্করের কোনও সংযোগ নেই। লস্করের সঙ্গে যোগাযোগের যে কথা বলা হচ্ছে তার পুরোটাই প্রচার।


হাফিজ সইদের আইনজীবী ইসলামাবাদ হাইকোর্টে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ওই অর্ডিন্যান্সের মেয়াদ বৃদ্ধি করেনি। বা তা আইনের পরিণত করেননি। পাক অ্যাটর্নি জেনারেল রাজা খালিদও জানিয়েছেন ওই অর্ডিন্যান্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে তার আর কোনও মূল্য নেই।


প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের চাপে পড়ে ২০০৯ ও ২০১৭ সালে হাফিজ সইদকে গৃহবন্দি করে পাক সরকার। কিন্তু তাকে জেলে পোরা হয়নি। ভারত সাইদের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই একটা কথা বলে আসছে যে মুম্বই হামলার প্রধান ষড়যন্ত্রী সইদ। তাকে গ্রেফতার করা হোক। তাতে কানই দেয়নি পাক সরকার। ইমারান খান ক্ষমতায় আসার পর তার পাক নীতির কোনও পরিবর্তনই হল না।